কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তাজনিত সমস্যা মোকাবিলা করা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা খর্ব করা যাবে না।
শনিবার(২১ জানুয়ারি) রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ ও ইন্দো-প্যাসিফিক সহযোগিতা: অগ্রাধিকারমূলক সমস্যা ও উদ্বেগ’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
রাজধানীর একটি হোটেলে এ সংলাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্স ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ। সংলাপ পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সেন্টার ফর ইন্দো-প্যাসিফিক অ্যাফেয়ার্সের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শাহাব এনাম খান। অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে সেখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মতো দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য বিলিয়ন ডলার খরচ করলেও আন্তর্জাতিক মহলের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে যে কোনো আনুষ্ঠানিক এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনার জন্য বাংলাদেশের দ্বার উন্মুক্ত।
শাহরিয়ার আলম বলেন, বড় দেশগুলোর মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল নিয়ে প্রতিযোগিতা রয়েছে। জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে চলবে বাংলাদেশ। শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল অবস্থায় থেকে এই প্রতিযোগিতা করা উচিত।
বাংলাদেশ নীতিগতভাবে উন্মুক্ত ও শান্তিপূর্ণ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল চায় জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে নিজস্ব কর্মকৌশল প্রণয়ন করছে ঢাকা। তবে এখনই ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্কের (আইপিইএফ) মতো কোনো মুক্ত বাণিজ্য ফোরামে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্তে আসেনি বাংলাদেশ।
সংলাপে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খুরশেদ আলম, নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস প্রমুখ।