পুলিশের অতিরিক্ত আইজি (অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট) এসএম রুহুল আমিন বলেছেন, ‘কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বেশ কিছু অপরাধী গ্রুপ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বলা যায় এটি জঙ্গিবাদের উর্বর স্থান হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে। এটি শঙ্কার বিষয়। তবে এ নিয়ে আমরা সচেতন আছি এবং কাজও করছি। যদিও এটি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।’
আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরে কক্সবাজারে হোটেল সায়মনের হল রুমে এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
পুলিশের এটিইউ ও ইউএনওডিসি যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
রুহুল আমিন বলেন, ক্যাম্পে এপিবিএন ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে। আশা করছি সব সংস্থার সমন্বয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারবো। দেশের স্বার্থ পরিপন্থি কাজ যারাই করুক তাদের শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
বলপূর্বক বাস্তচ্যুত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সে দেশের কিছু কিছু লোকের যোগাযোগ আছে উল্লেখ অতিরিক্ত আইজি বলেন, এই যোগাযোগের ফলে মিয়ানমার থেকে সহজে ইয়াবাসহ নিয়ে আসা হচ্ছে বিভিন্ন মাদক। সব কিছুই আমাদের নজরে আছে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের বিদ্যমান শক্তি সামর্থ্য দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ রাখতে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান রাজনৈতিক কাউন্সিলর ব্র্যাডলি কোটস, চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজ মো. মাহফুজুর রহমান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এপিবিএনের অতিরিক্ত ডিআইজি (এফডিএমএন) জামিল হাসান, কক্সবাজার পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুল ইসলাম।