চট্টগ্রামের ইপিজেড থানা এলাকায় নিখোঁজ শিশু আয়াতকে হত্যার পর ছয় টুকরা করে পানিতে ফেলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার আবির আলীর বরাতে শুক্রবার পুলিশ এ তথ্য জানায়।
গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার বাসা থেকে পাশের মক্তবে আরবি পড়তে যায় ৬ বছর বয়সী আয়াত। এরপর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পর দিন সে নিখোঁজের অভিযোগে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা সোহেল রানা।
এ ঘটনায় আবির আলী (১৯) নামের এক যুবককে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা জানান, আবির তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। সে আয়াতের দাদা বাড়ির সাবেক ভাড়াটিয়া। নগরের আকমল আলী সড়কে মায়ের সঙ্গে থাকেন।
নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘আয়াতকে অপহরণ করে তাদের সাবেক ভাড়াটিয়া আবির আলী। সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তাকেবৃ হস্পতিবার রাত ১১টার দিকে আকমল আলী সড়ক থেকে আটক করা হয়। সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে ঘটনার দিন বিকেলে আয়াতকে সে অপহরণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে সে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করে। খণ্ডিত মরদেহ দুটি ব্যাগে নিয়ে বেড়িবাঁধ এলাকায় নদীতে ফেলে দেয়। সেসব আমরা উদ্ধারের চেষ্টা করছি, তবে মরদেহ টুকরা করার কাজে ব্যবহার করা বঁটি ও অ্যান্টি কাটার উদ্ধার করা হয়েছে।’
এসপি বলেন, ‘ছয় মাস আগে তিনি রাস্তায় একটি মোবাইলের সিম কার্ড পান। কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নতুন মোবাইল কিনে ওই সিম তোলেন। আয়াতের পরিবার অনেক টাকার মালিক ভেবে তিনি শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করেন।
‘১৫ নভেম্বর বিকেলে আবির আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করেন। শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করা হয়। টুকরাগুলো দুটি ব্যাগে নিয়ে ওই এলাকা সংলগ্ন বেড়িবাঁধে ফেলে দেন।’
ইপিজেড থানার ওসি আব্দুল করিম জানান, বাসা থেকে বের হওয়ার ২০ মিনিটের মধ্যে শিশুটি নিখোঁজ হয়।