চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকটা জুড়েই আলোচনার কেন্দ্রে ছিল ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটি। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের অনুমতি না পেয়ে আটকে ছিলো এই সিনেমা। আদালত গড়িয়ে অবশেষে মুক্তির অনুমতি পেয়েছে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’। গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে এই সিনেমাটির বিষয়ে অনেকদিন ধরেই আলোচনা চলছিল৷
আজ শনিবার(২১ জানুয়ারি) এই সিনেমা মুক্তির পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে নিজের ভেরিফাইড পেইজে একটি পোস্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন নির্মাতা ফারুকী। ফেস দ্যা পিপল পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হলো–
‘কেমন অনুভুতি হয় যখন আপনি দেখেন সারা দুনিয়া ছুটে চলেছে আর আপনি একাই থেমে? ভীষণ অপ্রয়োজনীয় লাগে নিজেরে! এই কয় বছর তাই লাগছিলো!
বাইরে থেকে কি মনে হয় জানিনা, ভেতরে ভেতরে শিল্পীদের মতো একাকী মানুষ আর কেউ নাই! গত চারবছর ধরে শনিবার বিকেল নিয়ে যখন স্ট্রাগল করতেছিলাম, তখন নিজেরে অদরকারী ভাবার সাথে যে অনুভুতিটা আমাকে গ্রাস করতো সেটা হলো একাকীত্ব।
কিন্তু এই কয় মাস শনিবার বিকেলের মুক্তির দাবিতে ফিল্ম অ্যালায়েন্স বাংলাদেশের কলিগ, আমাদের দর্শক ভাই-বোন, এবং সমাজের সব স্তরের মানুষ যেভাবে কন্ঠ উঁচু করেছেন, তাতে আমি আর একা বোধ করি নাই। মনে হয়েছে আমি অনেকের সাথে আছি, মাঝে আছি। আপনাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। ছবিটার মুক্তির জন্য নেপথ্যে যে ভাই-বোনেরা কাজ করেছেন তাদের সবাইকে সালাম। পত্র-পত্রিকা, ফেসবুক পেজ বা গ্রুপ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
আপনাদের মতো আমিও পত্রিকা মারফত জেনেছি, আপীল বোর্ড শনিবার বিকেল ছবিটা ছেড়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উনারা হয়তো উনাদের ছোট কিছু অবজারভেশন জানাবেন যেটা ডিটেইল এখানে আলোচনা করতে চাচ্ছি না। আমরা আশা করি উনারা দ্রুতই আমাদের এই বিষয়ে চিঠি দিবেন যাতে আগামী শুক্রবার বা তার পরের শুক্রবার ছবিটা মুক্তি পায়। মোট কথা ফারাজের সাথে বা আগেই ছবিটা মুক্তির ব্যবস্থা করবো ইনশাল্লাহ।
এই সুযোগে আমি আপীল বিভাগের বিজ্ঞ সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই।
শেষে একটা কথা বলতে চাই, আমার মতো এই অভিজ্ঞতার ভিতর দিয়ে যেনো কোনো ফিল্মমেকার না যায়। আমরা বাঁচি আর কয় দিন। কাজের সময় খুব কম। এইভাবে তা অপচয়ের কোনো মানে নাই।’