শ্রীলংকার নির্বাচিত নতুন প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে বৃহস্পতিবার শপথ নিচ্ছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটির অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় বিক্রমাসিংহে সর্বদলীয় ঐক্যের একটি কেবিনেট গঠন করবেন।
শ্রীলংকার ছয়বারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালনকারী রনিল বিক্রমাসিংহে বুধবার দেশটির পার্লামেন্টের আইনপ্রণেতাদের ভোটে নির্বাচিত হন।
রাজনৈতিক সূত্র সমূহ বলছে, বিক্রমাসিংহে ৩০ সদস্য বিশিষ্ট কেবিনেটে যোগ দিতে সকল রাজননৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
এদিকে সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী এবং বিক্রমাসিংহের সহপাঠী দিনেশ গুণবর্ধন প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন বলে ধারনা করা হচ্ছে। গুণবর্ধন ও বিক্রমাসিংহে তিন বছর বয়স থেকে একে অপরকে চেনেন এবং মর্যাদাপূর্ণ রয়্যাল কলেজ অব কলম্বোয় একসাথে পড়ালেখা করেন।
গুণবর্ধন একজন ট্রেড ইউনিয়ন নেতা এবং ক্ষমতাচ্যুত রাজাপাকসের এসএলপিপি পার্টির অংশীদার ন্যাশনাল পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন।
বিক্রমাসিংহের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, প্রধান বিরোধী দল থেকে কিছু সংখ্যক এমপি কেবিনেটে যোগ দেবেন।
এদিকে নির্বাচিত হওয়ার পর পরই বিক্রমাসিংহে সমস্যা সৃষ্টিকারীদের প্রতি কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তুমি যদি সরকার হটাতে চাও, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় দখলের চেষ্টা চালাও তবে এটি কোন গণতন্ত্র নয়, এসব আইন বিরোধী কাজ।
তিনি আরো বলেন, আমরা এদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ নেবো।
শ্রীলংকায় নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দেশটিতে রাজাপাকসেদের সরকার উৎখাতে মাঠে নামে বিক্ষোভকারীরা। আন্দোলনের একপর্যায়ে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদে থাকা দুই ভাই গোতাবায়া ও মাহিন্দা রাজাপাকসে পদত্যাগে বাধ্য হন এবং দেশ ছেড়ে পালান।
বিক্ষোভকারীরা বিক্রমাসিংহেকে ক্ষমতাধর রাজাপাকসে পরিবারেরই ছায়া হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমি রাজাপাকসের বন্ধু নই। আমি জনগণের বন্ধু।