বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১৪তম দিনের মতো চলছে শিক্ষকদের আন্দোলন। জাতীয়করণের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আন্দোলনরত শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, আন্দোলনের পেছনে অবশ্যই উসকানি আছে। যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না- তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে। শিক্ষক আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়েও আন্দোলনকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে।
সোমবার (২৪ জুলাই) রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় আহছানুল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের সঙ্গে বড় আর্থিক সংশ্লেষ রয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষকদের অনেকেই আন্দোলন থেকে চলে গেছেন। কিন্তু যারা আছেন তারা আরো কিছুদিন বসে থেকে তারপর হয়তো যাবেন। শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে শিক্ষকদের এমন কর্মসূচি পালন একেবারে সঠিক নয়। আমি আশা করব, যেহেতু আলোচনা হয়েছে এবং আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি তারা যেন ক্লাসে ফিরে যান।
দীপু মনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচন এলেই কিছু মানুষ মনে করে এটা আন্দোলনের মৌসুম। কোনটি তাৎক্ষণিকভাবে করা সম্ভব, এটি কিন্তু আন্দোলনকারীদের বুঝতে হবে। আমাদের গণতন্ত্রের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে গেল। তাই আমাদেরও বিষয়গুলো বুঝতে হবে। আন্দোলনে অবশ্যই উসকানি আছে। যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য নানা রকম অপকর্ম করেছে, যারা জনগণকে সম্পৃক্ত করে কোনো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারছে না- তারা একেক সময় একেক দল, গোষ্ঠীর ওপর সওয়ার হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক আন্দোলনের ওপর সওয়ার হয়েও আন্দোলনকে একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা তাদের থাকতেই পারে। আপনারা এমন কোনো ফাঁদে পা দেবেন না।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয়করণের বিষয়টিও শিক্ষকদের কাছে স্পষ্ট নয়। কারণ যারা সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে সরকারি স্কুল ও কলেজে নিয়োগ পান আবার যারা বেসরকারি এমপিওভুক্ত তাদের এক জায়গায় নিয়ে আসতে গেলে কী পদ্ধতিতে আনা যাবে, আদৌ আনা যাবে কি না নানা প্রশ্ন রয়েছে। এটি হঠাৎ করে আন্দোলন করে আদায়ের বিষয় নয়।
জাতীয়করণের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দুটি কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এ দুটি কমিটি দ্রুত প্রতিবেদন দেবে। প্রতিবেদন অনুযায়ী সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। আমি আশা করব, সব শিক্ষক দ্রুত শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাবেন