২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ অপ্রতুল বলে দাবি করেছে ‘বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ’। সংগঠনটি শিক্ষাখাতের সংস্কার ও বরাদ্দ বৃদ্ধির জন্য চার দফা প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছে।
মঙ্গলবার (৩ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই চার দফা তুলে ধরেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সদস্যসচিব জাহিদ আহসান, মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসসির চৌধুরি, মুখপাত্র আশরেফা খাতুনসহ আরও অনেকে।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, “চলতি বাজেটে শিক্ষার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে অবকাঠামো খাতে। প্রাথমিক শিক্ষায় বরাদ্দ কমানো হয়েছে। গবেষণার জন্যও কোনো উৎসাহজনক বরাদ্দ রাখা হয়নি। ফলে শিক্ষা খাতে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।”
তিনি বলেন, “এটা বরং আগের বাজেটেরই ধারাবাহিকতা। নতুন কোনো দিকনির্দেশনা বা রূপকল্প এখানে নেই।”
তারা যে চারটি প্রধান দাবি তুলেছেন, সেগুলো হলো:
১. দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণার জন্য বিশেষ বরাদ্দ রাখা।
২. জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ ও জিডিপির ৫ শতাংশ শিক্ষাখাতে বরাদ্দ নিশ্চিত করা।
৩. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষায় বরাদ্দ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া।
৪. গবেষণা-নির্ভর আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়তে দ্রুত শিক্ষা সংস্কার কমিশন গঠন করা।
তাদের মতে, গবেষণা ছাড়া শিক্ষা খাত এগোবে না। আর কর্মমুখী শিক্ষা ছাড়া কমবে না বেকারত্ব।
উল্লেখ্য, সোমবার (২ জুন) অর্থমন্ত্রী সংসদে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকার বাজেট পেশ করেছেন। এর মধ্যে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ রয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা। যা মোট বাজেটের ১৪ শতাংশ ও জিডিপির মাত্র ১.৭৭ শতাংশ।
এই প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের দাবি—শিক্ষাকে অগ্রাধিকার না দিলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়ন সম্ভব নয়। শিক্ষা খাতে আরও বড় পরিবর্তন ও বরাদ্দ চাই এখনই।