ববি প্রতিনিধি: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) নবনিযুক্ত ট্রেজারার অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে যোগদান না করেই ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নবনিযুক্ত ট্রেজারার যোগদান করতে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাকে গ্রাউন্ডফ্লোরে আটকে রাখেন এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে যোগদানে বাধা দেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ডফ্লোরে রাত ৯টায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা নবনিযুক্ত ট্রেজারার অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল মোস্তফা কামালকে আওয়ামী দোসর হিসেবে আখ্যা দেন এবং দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কোনো ব্যক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার পদে যোগদান করতে না পারেন সেই দাবি তুলেন। এর পাশাপাশি বিতর্কিত ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার কারণ দর্শানোর দাবিও তুলেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মোস্তফা কামাল রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন সীমাহীন দুর্নীতি করেছেন যার তথ্য-প্রমাণ বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। এমন দুর্নীতিগ্রস্ত লোককে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হিসেবে দেখতে চাই না।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে রসায়ন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব আহমেদ বলেন, একটি সূক্ষ্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল জায়গায় স্বৈরাচারের পুনর্বাসনের চেষ্টা চলছে। আমাদের সদ্য নিয়োগ পাওয়া ট্রেজারার আবু হেনা মোস্তফা কামাল স্বৈরাচারের দোসর কলিমুল্লাহর সহযোগী। ববি শিক্ষার্থীরা কোনো স্বৈরাচারের দোসরকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ঢুকতে দিবে না। এর ব্যতিক্রম ঘটলে আমরা বর্তমান প্রশাসনের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক রাহাত হোসেন ফয়সাল বলেন, নবনিযুক্ত ট্রেজারার এসেছিলেন যোগদান করতে কিন্তু শিক্ষার্থীরা বাধা দেয়ায় তিনি চলে গেছেন। শিক্ষার্থীরা এই ঘটনার পর একটা মানববন্ধনও করেছেন বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের বাধার মুখে নবনিযুক্ত ট্রেজারার যোগদান না করেই ক্যাম্পাস ত্যাগ করেছেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার নতুন ট্রেজারার হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল আবু হেনা মোস্তফা কামাল খানকে নিয়োগ দেয়া হয়। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. শাহীনুর ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।