দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলামের রিমান্ড শুনানিতে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে শিবলী রুবাইয়াতকে আদালতে হাজির করা হয় এবং রিমান্ড শুনানির জন্য বেলা ১২টায় তাকে এজলাসে তোলা হয়।
দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য শিবলী রুবাইয়াতকে রিমান্ডে নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। অন্যদিকে, আসামি পক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন রিমান্ড বাতিল এবং জামিনের আবেদন করেন। তিনি জানান, মামলার এজাহারে উল্লেখিত অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং অভিযুক্ত অর্থ কোনো অবৈধ টাকা নয়। এছাড়া, এখানে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব আদেশ প্রদান পর্যন্ত অপেক্ষা করার নির্দেশ দেন।
এর আগে, গত বুধবার দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মাসুদুর রহমান শিবলী রুবাইয়াতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন— মোনার্ক হোল্ডিং ইনকর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ. মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের প্রোপাইটর আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির দিলকুশা শাখার সাবেক ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন এবং এসইভিপি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ভুয়া বাড়িভাড়া চুক্তিনামা দেখিয়ে এক কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার ঘুষ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া, ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, ব্যাংক কর্মকর্তারা কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স অনুসরণ না করে এবং পণ্য রপ্তানির কোনো রেকর্ড ছাড়াই তিন লাখ ৬১ হাজার ইউএস ডলার বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে এক কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা শিবলী রুবাইয়াত নিজে গ্রহণ করেন।