রাজধানীর পুরান ঢাকায় এক ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে জনমত গঠনের অভিযোগ তুলেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা। ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন দাবি করেছেন, শিবিরের গোপন কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে একটি ‘মব’ বা উগ্র জনতা সৃষ্টি করছে, যার লক্ষ্য ছাত্রদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করা।
সোমবার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক হত্যাকাণ্ড ঘটলেও সেগুলোর প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করা হয়নি। কেবল মিটফোর্ডের ঘটনা ঘিরেই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ছাত্রদলের বিরুদ্ধে ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানো হচ্ছে।”
নাছির উদ্দিন আরও অভিযোগ করেন, এই গোপন সংগঠনের কর্মীরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও বিতর্কে জড়াতে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। তিনি বলেন, তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একটি অস্থির পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। এর মাধ্যমে সারাদেশেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চলছে।
এই পরিস্থিতির প্রতিবাদে ছাত্রদল ‘গুপ্ত সংগঠনের অপতৎপরতা’, ‘শিক্ষা পরিবেশ বিনষ্ট’ এবং ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি কাকরাইল, মৎস্য ভবন, প্রেসক্লাব, কার্জন হল ও টিএসসি হয়ে শাহবাগে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ‘জামায়াত-শিবির হটাও’, ‘রাজাকারের বাংলায় ঠাঁই নাই’, ‘স্বৈরাচার-রাজাকার একাকার’, ‘দিল্লি গেছে স্বৈরাচার, পিন্ডি যাবে রাজাকার’—এমন নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
এ বিক্ষোভে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর, বিভিন্ন কলেজ ও থানার ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে চান, বিশৃঙ্খলা নয়।