নাগরিক জীবনে এবার ততটা প্রকোপ নিয়ে নামতেই পারেনি শীত। শীত কমেছে দিনে দিনে। খসে পড়েছে কুয়াশার ঘোমটা। পাতা ঝরা দিন এবার মনে করিয়ে দিচ্ছে, এসেছে বাঙালির ঋতুরাজ। এসে গেছে বসন্ত। শীতল বাতাসে প্রশান্ত হৃদয়ে বসন্তের বার্তায় তবুও মনে পড়ে মৃত্যুর মিছিল। আর পাশবিকতার মাঝেও সময়ের চলমান প্রবাহ চলতেই থাকে, দুঃখ-দুর্দশাতেও থেমে থাকে না বসন্তের জয়গান।
আজ ইংরেজি বছর অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি। বাংলায় ফাল্গুন মাসের প্রথম দিন।
পলাশ-শিমুলও ফুটছে নিশ্চই কোথাও। কোকিলও ডাকছে কী! ধুলোময় আর রুক্ষ নগরে বসন্তের গ্রামীণ রূপ এ শহরের মানুষের কাছে বড় অচেনা। নগরীর মানুষ এবার ধাপে ধাপে উওপ্ত শহর দেখতে শুরু করবে।
তবুও এ ধূলিধূসর ঋতু কী করে বাঙালির প্রেমের ঋতু হয়ে গেল? গাছপালার মস্তক মুণ্ডিত করে দেয় যে ঋতু, যে কী না চৌচির করে দেয় ফসলের মাঠ- তা নিয়ে এত আদিখ্যেতাই বা কেন?- এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া কঠিন।
বসন্ত নিয়ে বাঙালির প্রধান কবিদের প্রায় সবাই গেয়েছেন বন্দনাগীত। বসন্ত যখন জাগ্রত দ্বারে তখন রবীন্দ্রনাথের পরামর্শ- ‘আজি খুলিয়ো হৃদয়দল খুলিয়ো’। আর কবি নজরুল লিখেছেন, ‘আসিবে তুমি জানি প্রিয়, আনন্দে বনে বসন্ত এলো।
পুরোদস্তুর রাজনৈতিক পদাতিক কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় তো লিখেই গেছেন – ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত।
লিখেছেন: আবু হায়াৎ শুভ