গাজীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন বাহিনীর ৫টি টর্চার সেল ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ।মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) মধ্য রাতে এই অভিযান চালায় পুলিশ।
জানা যায়, উজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, নড়নল, কোষাদিয়া নান্দিয়া সাঙ্গুন গ্রামে সুমনের নিয়ন্ত্রনাধীন ৫টি টর্চার সেল ছিল। এসময় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। একই সাথে একটি বন্দুক, দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁঠা উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কাঁঠালিয়া গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (১৮), পোসাদিয়া গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুল শাহীদ (৩৫) এবং বড়নল গ্রামের মৃত হাসেমের ছেলে কফিল উদ্দিন (৬৫)।
এদিকে মামুন আল মুজাহিদ ওরফে সুমন ছিলেন উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, রবিবার সন্ত্রাসী সুমন এবং রাজিবকে পুলিশ রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন স্বীকার করে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের পাঠানটেক, বড়নল, কোষাদিয়া, বরকুল এবং নান্দিয়াসাঙ্গুন এলাকায় তার পাঁচটি আস্তানা রয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওইসব আস্তানায় তল্লাশী করে একটি ইয়ারগান ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা ইয়ারগানকে রাইফেল হিসেবে ব্যবহার করে মানুষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করতো।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) রাতে গাজীপুর ডিবি পুলিশের একটি দল শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজাহিদ ওরফে সুমনকে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের নান্দিয়াসাংগুন এলাকার ত্রিমোহনী ব্রিজ থেকে আটক করে পুলিশ। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ৮টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর-মাওনা সড়কের টেংরা মোড়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ও থানা পুলিশের ব্যবহৃত দুটি গাড়িতে হামলা করে ভাংচুর চালায় তার সহযোগীরা। হামলায় অন্তত ৭জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী মুজাহিদ ওরফে সুমনকে তার সহযোগীরা পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়। যদিও তিনিদিন পর রবিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে দুই সহযোগীসহ সুমনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।