শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তের ১৬০টি জায়গায় ভারত কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক দোয়া মাহফিলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আয়োজক জাতীয়তাবাদী রিকশা -ভ্যান- অটোরিকশাচালক শ্রমিক দল। বিএনপির মিডিয়া সেল এই তথ্য জানিয়েছে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, শেখ হাসিনা ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারতকে নানা সুবিধা দিয়েছেন। এই সুবিধার কারণে ভারত নানা অসম কাজ করেছে। দুটি স্বাধীন দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যে কাজগুলো করা যায়, সেটা না করে ভারত জোর করে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সুবিধা দেওয়ায় বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করে ভারত সীমান্তের ১৬০টি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছে।
৪ হাজার ৬০০ কিলোমিটার সীমান্তের মধ্যে ৩ হাজার কিলোমিটারের বেশি কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়ম, বিধিবিধান, দুই দেশের মধ্যকার চুক্তি, আলাপ-আলোচনাও মানছে না ভারত। শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজ সীমানার মধ্যে কোনো উন্নয়ন–পরিকল্পনা নিতে গেলে দুই দেশের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতে হবে। কিন্তু সেটা না মেনে ভারত কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে লালমনিরহাটসহ বিভিন্ন জায়গার সীমান্তে। এর বিরুদ্ধে যে জনগণ দাঁড়াতে পারে, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষীরা প্রতিরোধ করতে পারেন, এ দৃষ্টান্ত শেখ হাসিনার আমলে তিনি স্থাপন করতে দেননি। তিনি ফ্যাসিজম দিয়ে, তাঁর নির্দয়তা দিয়ে, তাঁর নির্মমতা দিয়ে ভারতের সেবাদাস হয়ে কাজ করেছেন।
রিজভী বলেন, ‘উনি (শেখ হাসিনা) একটা কথা বলতেন, নিজের দলের লোকদেরও বলেছেন যে আমার দলের লোকদের মধ্যে অনেককে কেনা যায়, কিন্তু শেখ হাসিনাকে কেনা যায় না। আরে, আপনাকে (শেখ হাসিনা) তো সবার আগে কেনা যায়…ভারত আপনাকে সবার আগে কিনেছে…কেনার কারণে আপনার নিজের দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং গৌরবকে আপনি পদদলিত করে ভারতকে অসম কাজ করার সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন।’
দোয়া মাহফিলে ছাত্র-জনতার বিপ্লবে রিকশা-ভ্যান-অটোরিকশার চালকদের ভূমিকা, আত্মত্যাগ, বীরত্ব, আহত হওয়ার কথা স্মরণ করেন রিজভী। আহত ব্যক্তিদের পাশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের থাকার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।