সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে ইফতার অনুষ্ঠানে বিধি-নিষেধ, রোজাদার ছাত্রদের ওপর হামলা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। দেশের অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা আবদুল বাছিত আজাদ।
তিনি বলেন, দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। শিক্ষা-সংস্কৃতি হুমকির মুখে। এখন সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের ধর্মীয় বিষয়ের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকাল ৪টায় পল্টনে একটি রেস্টুরেন্টে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে খেলাফত মজলিস আয়োজিত ইফতার মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফিলে গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা বন্ধ ও অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনসহ দেশ ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া-মোনাজাত পরিচালনা করেন আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ।
খেলাফত মজলিসের আমির বলেন, রমজানের ইফতার মাহফিল আয়োজন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ফেনী সরকারি কলেজ শিক্ষার্থীদের ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীরা যে নির্মম নির্যাতন করেছে রোজাদারের ওপর কোন মুসলমানের সন্তান তা করতে পারে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে ছাত্রদের উন্মুক্ত কুরআন শিক্ষা আসর বন্ধ করে দিয়ে কুরআন নাযিলের মাস হিসেবে মাহে রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে।
দ্রব্যমূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ইফতারি আইটেমের দাম আকাশচুম্বী এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই মাস থেকে বিদ্যুতের মূল্য খুচরা পর্যায়ে সাড়ে ৮ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। সব মিলিয়ে রোজাদারদের জীবনকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে সরকার।
মাওলানা আবদুল বাছিত বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ইফতার মাহফিল নিয়ন্ত্রণ করছে। রমজানের পবিত্রতা বিনষ্টকারী সব অপতৎপরতা সরকারকে বন্ধ করতে হবে। ইফতার ও কুরআন তিলাওয়াতের অনুষ্ঠান নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিপত্র বাতিল করতে হবে।
আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন। মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন- খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির শায়খুল হাদিস মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, মাওলানা জিয়াউল হক শামীম, মাওলানা ফেরদাউস বিন ইসহাক, ডা. আবদুল্লাহ খান প্রমুখ।