রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মকবুল হোসেন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না বলেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তাঁর বড় ভাই আব্দুর রহমান। নিহতের লাশ নিতে এসে তিনি এ তথ্য জানান।
এর আগে বুধবার সংঘর্ষের পর বিকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মকবুল হোসেনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মকবুলের বড় বোন আয়েশা বেগম জানান, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় মকবুলের গ্রামের বাড়ি। তিনি মিরপুর টেম্পোস্ট্যান্ডের কাছে এলাকায় থাকতেন। মকবুল পেশায় একজন হস্তশিল্পী (জামা, জুতায় পুঁথি লাগাতেন) ছিলেন। তার বাবা মৃত আব্দুস সামাদ ও মা জোহরা বেগম।
মকবুলের নিহতের কথা শুনে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালে এসে আহাজারি করতে থাকেন তার স্ত্রী হালেমা বেগম, সঙ্গে ছিলেন তাদের মেয়ে মিথিলা (৮)। তার বোন, ভাবি ও শাশুড়িও ছিলেন।
মকবুলের বড় ভাই আব্দুর রহমান আরও বলেন, চার ভাইয়ের মধ্যে মকবুল সবার ছোট। তিনি হাতের কাজ (হস্তশিল্প) করতেন। কোনো রাজনীতির সঙ্গে আমার ভাই যুক্ত ছিল না। কাজের জিনিসপত্র কেনার জন্য সকালে চকবাজার আসেন তিনি। পরে আমরা বিকালে এ খবর পাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.নাজমুল হক বলেন, আমাদের এখানে সবমিলিয়ে ২১ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিয়েছেন। তার মধ্যে একজন পুলিশসহ তিনজনকে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত আছেন।
মকবুল মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের কাছে ব্রড ইন ডেথ অবস্থায় এসেছে। এখন তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা ময়নাতদন্তের মাধ্যমে জানা যাবে।