সংযুক্ত আরব আমিরাতে বৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানো এবং আমদানি-রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ২০২৪-২৫ সালের জন্য ৫২ জন প্রবাসী সিআইপি (কমার্শিয়ালি ইম্পরট্যান্ট পারসন) সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
আজমানের উম্ম আল মোমেনিন উইমেন অ্যাসোসিয়েশন হলে আমিরাত কমিউনিটি আয়োজিত এক বিশেষ অনুষ্ঠানে তাদের এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ইয়াকুব সৈনিক, এবং এতে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। সম্মানিত অতিথি ছিলেন আজমান রাজ পরিবারের সদস্য শেখ মোহাম্মদ সাঈদ রাশেদ হোমাইদ আল-নোয়াইমী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব শিবলী আল সাদিক।
প্রধান অতিথি আসিফ মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী আছেন। তারা শুধু নিজের ক্ষেত্রে সফল নয়, বরং বাংলাদেশের অর্থনীতির বড় এক চালিকাশক্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে সিআইপি মর্যাদা অর্জনকারী এবং অক্লান্ত পরিশ্রমী প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকার কৃতজ্ঞ।’
তিনি আরও জানান, প্রবাসীদের ভোগান্তি দূর করতে বিমানবন্দর ও পাসপোর্ট সেবায় কাজ করছে সরকার, পাশাপাশি প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়েও সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
আসিফ মাহমুদ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে প্রবাসীদের অবদানের কথাও স্মরণ করেন এবং বলেন, ‘যারা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে কণ্ঠস্বর তুলেছেন এবং ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবিগুলোর সমাধানে কাজ করে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ, দুবাই কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল রশেদুজ্জামান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব মাহফুজুল আলম ভূঁইয়া, এবং আয়োজক প্রকৌশলী সালাউদ্দীন আহমেদ। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা আমানুল কিবরীয়া, শারজাহ বাংলাদেশ সমিতির সাবেক সভাপতি শরাফত আলী, এবং ট্যাপ ট্যাপ সেন্টারের হেড অফ গ্রোথ সুদর্শন সুভাশীষ দাস প্রমুখ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা প্রবাসীদের অবদানকে গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধানে সরকারী পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দেন।