রাজধানীর সদরঘাটে এমভি তাশরিফ-৪ নামের একটি লঞ্চের ছিঁড়ে আসা রশির আঘাতে একই পরিবারের তিনজনসহ পাঁচ যাত্রী নিহত হওয়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে বিচারক আরিফা চৌধুরী হিমেল তিনদিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিনের আবেদনও করেন।
রিমান্ডে নেওয়া পাঁচজন হলেন- ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫৪), দ্বিতীয় মাস্টার সেলিম হাওলাদার (৫৪), ম্যানেজার ফারুক খান (৭০) এবং তাসরিফ-৪ লঞ্চ এর মাস্টার মিজানুর রহমান (৪৮) ও দ্বিতীয় মাস্টার মনিরুজ্জামান (২৮)।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ঈদের দিন বিকালের দিকে সদরঘাটের ১১ নম্বর পন্টুনে এমভি তাশরিফ-৪ ও এমভি পূবালী-১ নামের দুটি লঞ্চ রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। বেলা তিনটার কিছুক্ষণ আগে এ দুটি লঞ্চের মাঝখান দিয়ে ফারহান নামের আরেকটি লঞ্চ পন্টুনে ঢোকানোর চেষ্টা করা হয়।
এ সময় এমভি তাশরিফের রশি ছিঁড়ে লঞ্চে ওঠার জন্য পন্টুনে অপেক্ষমাণ পাঁচ যাত্রীকে আঘাত করে। এতে তারা পন্টুনে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন রয়েছেন।
নিহতরা হলেন- পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) ও তাদের ৪ বছর বয়সী মেয়ে মাইশা।
বেলাল গাজীপুরে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে তিনি সেখানে থাকতেন। ঈদের আগে যাত্রার ভিড় এড়াতে তারা ঈদের দিন বাড়ির উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
নিহত অপর দুজন হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের রবিউল (১৯) ও পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।