স্বাধীনতা দিবসের পরের দিন-ই দুঃসংবাদ পেল ভারত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব ধরণের ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। ফুটবলীয় কার্যক্রমে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব খাটানোর অভিযোগে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ) কে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে পাকিস্তানের ফুটবলও নিষেধাজ্ঞার মুখে ছিলো।
আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) প্রথম প্রহরে আনুষ্ঠানিকভাবে বিবৃতি দিয়ে নিষেধাজ্ঞার খবর জানিয়েছে ফিফা। বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, ‘ব্যুরো অব ফিফা কাউন্সিল সর্বসম্মতভাবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারণ এই সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের অনুচিত প্রভাবের ফলে ফিফা সনদের পরিস্কার লঙ্ঘন হয়েছে।’
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো থেকে জানা যায়, এআইএফএফের সাবেক সভাপতি প্রফুল প্যাটেলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটরসের (সিওএ) দ্বারা সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট এআইএফএফকে জাতীয় ফেডারেশনের নির্বাচনেরও নির্দেশ দিয়েছিল। ফুটবল ফেডারেশনের ওপর আদালতের এই খরবদারি সবসময়ই নেতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে ফিফা। বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা আদালতের খবরদারিকে তাদের সনদের পরিস্কার লঙ্ঘন হিসেবে উল্লেখ করেছিলো।
এসব ইস্যুতেই চলতি মাসের শুরুর দিকে বিষয়টি নিয়ে কড়া ভাষায় এআইএফএফকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছিল ফিফা। তবে এরপরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে না পারায় নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হল দেশটিকে।
এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আগামী অক্টোবরে ভারতে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৭ নারী বিশ্বকাপও আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। শিগগিরই এই টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ফিফা।
তবে নিষেধাজ্ঞার বিবৃতিতে এই মুক্তির পথও বাতলে দিয়েছে ফিফা। জানিয়েছে, ‘এআইএফএফের দৈনন্দিন কার্যক্রমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটির প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি প্রশাসনিক কমিটি গঠন করতে হবে। এআইএফএফের বর্তমান নির্বাহী কমিটির সব ক্ষমতা সেই প্রশাসনিক কমিটিকে দিতে হবে।’