নামটা তার ঠিক আর্জেন্টিনা সুলভ না। নামের জন্য অনেকেই তাকে স্কটিশ আর্জেন্টাইন বলেই ডাকেন। ব্রাইটনের হয়ে আলো ছড়ানো মৌসুমের পর আর্জেন্টিনার জার্সিতেও উজ্জ্বল তিনি। মেসির পেনাল্টি মিসে যখন আর্জেন্টিনা হতাশ, তখনই এগিয়ে এলেন অ্যালেক্সিস ম্যাক-অ্যালিস্টার! আর্জেন্টিনার গোলদাতা আরো একজন আছেন। মুখে কিশোর আর পায়ে জাদু ধরে রাখা সেই খেলোয়াড় জুলিয়ান আলভারেজ। এই দুজনের গোলেই সব শঙ্কা উড়িয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে গেলো আর্জেন্টিনা।
কাতারের ৯৭৪ স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথমার্ধ বলতে গেলে আর্জেন্টিনা বনাম ওলশেক সেজনির মাঝেই হয়েছে। প্রথমার্ধের ৪৫ মিনিটেই শেজনির সেইভ ৭ টি। এরমাঝে আছে এক পেনাল্টি। মেসি, ডি মারিয়া, আকুনা, এনজো ফার্নান্দেজের আক্রমণের মুখে পোল্যান্ডের প্রাচীর হয়েই ছিলেন শেজনি।
তবে বলার মত অনেক সুযোগই পেয়েছে মেসি বাহিনী। পোল্যান্ডের লো-ব্লক ডিফেন্সের কাছে বারবার আটকেছে সব। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় দৃশ্যপট। মাঠের সবাই নড়েচড়ে বসার আগেই পোল্যান্ডকে ধাক্কা দেন ম্যাক-অ্যালিস্টার। তার আলতো টোকার কোণাকুণি শট সাড়ে ৬ ফুটের শেজনিকে ফাঁকি দিয়েছে খুব সহজেই।
গোলের পর মোটামুটি নড়েচড়ে বসে আর্জেন্টিনা। চাপমুক্ত হয়ে খেলার ফলটাই আসে আরো খানিক পর। ডি মারিয়ার পরিবর্তে পারাদেস আর আকুনার বদলি টালিয়াফিকো দুজনেই ছিলেন ছন্দে। আগের ম্যাচে দারুণ গোল করা এনজো ফার্নান্দেজের আরো এক ঝলক দেখা গেল আজ। তার পাস থেকেই শেজনিকে দ্বিতীয়বার পরাস্ত করেন জুলিয়ান আলভারেজ। শেষ পর্যন্ত এই দুই গোলের সুবাদেই গ্রুপসেরা হয়ে ২য় রাউন্ডে পা রাখে মেসির দল!
গ্রুপ সি থেকে আর্জেন্টিনার সঙ্গী হয়েছে পোল্যান্ড। গ্রুপের অন্য ম্যাচে মেক্সিকোর কাছে ২-১ গোলে হারলেও পোল্যান্ডকে নকআউটে উঠিয়ে দিয়েছে সৌদি আরব। পোল্যান্ড ও মেক্সিকোর পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানের সুবাদেই পরের রাউন্ডে যাচ্ছে ইউরোপের দলটি।
রাউন্ড অভ সিক্সটিনে তাদের প্রতিপক্ষ ডি গ্রুপের গ্রুপসেরা ফ্রান্স। আর আর্জেন্টিনা তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে অস্ট্রেলিয়াকে।