স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রতি মাসে প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করতে ডিসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকদের অনুরোধ করেছি, তারা যেন প্রতি মাসে এবং প্রয়োজন হলে প্রতি সপ্তাহেই বাজার মনিটরিং করে। যাতে পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে বিষয়ে অনুরোধ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ডিসিরা তেমন কোনো কথা বলেননি। তারা বিভিন্ন ধরনের কিছু ছোট ছোট পয়েন্ট যেমন মাদকদ্রব্য নিয়ে কথা বলেছেন। জেলখানায় কয়েদিদের আরও একটু ভালো টাইট দেওয়ার কথা বলেছেন। অচল বন্দিদের কীভাবে আরও একটু ছাড় দেওয়া যায় এবং ভার্চুয়াল কোর্ট যেটা কোভিডের সময় চালু করেছিলাম। সেটা বাংলাদেশের সব জায়গায় চালু করা যায় কি না।
তিনি বলেন, বিশেষ করে যেসব কয়েদিকে আনা-নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের ভার্চুয়াল কোর্টের মাধ্যমে বিচার করা যায় কি না সেটা নিয়ে বলেছেন তারা। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সারাদেশে চালু করা যায় কি না সেটা দেখবো বলে জানিয়েছি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, তারপরও কিছু ছোট ছোট মাদকদ্রব্য যা চোখে দেখা যায় না, বা দৃশ্যমান কোনো কিছু দিয়ে পরিবহন করা হয় না। এসব ড্রাগ ব্যবহার রোধে জেলা প্রশাসকদের সামাজিকভাবে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নদীপথে যত্রতত্র বালু উত্তোলন না করার বিষয়েও ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এমন প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, আপনাদের পাশে নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন থাকবে। যখন আপনাদের প্রয়োজন হবে নিরাপত্তা বাহিনী পাশে থাকবে।