বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটিয়েই নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি ভাববে।
মঙ্গলবার(১৪ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে ভাসানী ভবনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপি নেতা প্রয়াত গৌতম চক্রবর্তীর স্মরণসভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানান। এই স্মরণসভায় সংগঠনের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলের পরিচালনায় কৃষক দলের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্য চলাকালে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে চিরকুট পাঠিয়ে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে সাংবাদিকরা দুটি বিষয় জানতে চান। প্রথম বিষয় হিসেবে জানতে চান– কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষ্যে বিধি অনুযায়ী কুমিল্লা-৬ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনকে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছিল। তার পরও তিনি এলাকায় অবস্থান করেন। কিন্তু কমিশন কোনো ব্যবস্থাই নিতে পারেনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে এই মুহুর্তে আমাদের ভাবনা নেই। আমরা যেদিন দখলদার সরকারের হাত থেকে দেশকে দখলমুক্ত করতে পারব, সেদিন-ই নির্বাচন কমিশনের পারা না পারা নিয়ে কথা বলব।
দ্বিতীয় প্রশ্নে সাংবাদিকরা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জবাবে গয়েশ্বর বলেন, চিকিৎসকরা যা বলেছেন, তাতে করে গণতন্ত্রের মাতা ভালো নেই। দেশবাসীর মতো আমরাও প্রত্যাশা করি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী যেন সীমিত চিকিৎসার মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
বিএনপি নেতা গৌতম চক্রবর্তীর জীবনের ইতিবাচক দিক তুলে ধরে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন দিয়ে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রিস্টানসহ বাংলাদেশের মানুষের একটি পরিচয় দিয়েছিলেন। আজ সেই দর্শনে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির পতাকা তলে একত্রিত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির জন্মের আগে থেকে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে আমার সম্পর্ক। আমি বিএনপির জন্মের আগে বিএনপি করি। সেই সময়ে জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে জাগিয়ে তুলেছিল। জিয়াউর রহমান দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী বহুদলীয় গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তার পথ ধরে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ নয় বছর গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে স্বৈরাচারমুক্ত করে দেশকে আবার গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি এখনো গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন।
এ সময় বিএনপির পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে তিনি আশাবাদী হয়ে বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন এবং ভোটাধিকার ফিরে আসবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।