বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের অর্থনীতির ভয়ঙ্কর বিপর্যয় হয়েছে। বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। শ্রীলংকা এক বছরের মধ্যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে নেতৃত্ব ও সুশাসনের জন্য। অথচ দেশে মূল্যস্ফীতি, রেমিট্যান্স প্রবাহ শোচনীয়।
শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ‘আওয়ামী সরকারের দেড় দশকে ব্যাংকিং খাতে চরম অব্যবস্থাপনা ও লাগামহীন দুর্নীতি: অর্থপাচারের মাধ্যমে বিদেশে সম্পদের পাহাড়’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের সংকেটের দিকে এগোচ্ছে এমনটা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উন্নয়নের গালগল্প করে দেশকে ঋণের জালে জর্জরিত করে দেউলিয়া করতে যাচ্ছে সরকার। এখন প্রায় ২০ লাখ কোটি টাকা ঋণের বোঝা বইছে দেশ।
মির্জা ফখরুল বলেন, উন্নয়নের রোল মডেল বলে প্রতারণা করেছে সরকার। একটা অল্পসংখ্যক শ্রেণি সব লুট করে নিচ্ছে। দারিদ্র্য থেকেই যাচ্ছে। বৈষম্য বাড়ছে। গত দেড় দশকে ৯০ হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে। সরকারের সর্বগ্রাসী লুটপাট ও রাজনৈতিক দুর্বলতা দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ব্যাংকঋণের নামে লুটপাট। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে দেশের টাকা লুট করে বিদেশে পাচার করেছে সরকার। দেশের অর্থনীতির দুরবস্থা একদিনে সৃষ্টি হয়নি। সরকারের উন্নয়নের স্লোগানের নিচে চাপা পড়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং খাতে নজিরবিহীন তারল্যসংকট চলছে। আমানতকারীদের আমানতের ঝুঁকি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। বিনিয়োগ কমছে, মূল্যস্ফীতি বেড়েই চলছে।
অর্থনীতির বিপর্যয়েও ভোটারবিহীন সরকারের কিছু যায় আসে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, গত ১০ বছরে খেলাপি ঋণ দু-তিন গুণ বেড়েছে। খেলাপি ঋণ বাড়ার কারণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা। বেসিক ব্যাংক, ফার্মার্স ব্যাংক, হলমার্ক কেলেঙ্কারি অনিয়ম ও দুর্নীতি যাদের রোধ করার কথা তারাই এসবে জড়িত। সর্ষের মধ্য ভূত।
রপ্তানির আড়ালে সম্প্রতি ১৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অর্থনীতি, ব্যাংকিং খাত লুট করে, দেশকে পুরোটা ফোঁকলা করে দিয়েছে সরকার। সরকারের জবাবদিহিতা নেই বলে, আর্থিক খাতসহ কোনো কিছু সংস্কার সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়।