ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেছেন, সরকার পরিবর্তন হলে যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১৮০০ কোটি রুপির ইনকাম ট্যাক্সের নোটিস পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার তিনি এমনটা জানান। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ বক্তব্য প্রকাশ করে।
গত কিছুদিন আগেই ভারতীয় কংগ্রেস দলের কাছে ১৮০০ কোটি রুপি চেয়ে ইনকাম ট্যাক্সের নোটিশ পাঠানো হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে এ ধরনের পদক্ষেপকে বিজেপির ‘কর সন্ত্রাস’ বলে অভিহিত করেছে কংগ্রেস।
নতুন এই করের নোটিশটি ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ সালের মূল্যায়ন বছরের জন্য। এতে জরিমানা ও সুদ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রতিক্রিয়ায় রাহুল গান্ধী তার অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, ‘যখন সরকার পরিবর্তন হবে, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে যাতে কেউ আবার এসব করার সাহস না পায়। এটাই আমার প্রতিশ্রুতি।’
আয়কর কর্তৃপক্ষ ২০০ কোটি রুপি জরিমানা আরোপ করা ও তার তহবিল স্থগিত করার পরে কংগ্রেস ইতিমধ্যেই তহবিল সংকটের সম্মুখীন হয়েছে৷ এতে উচ্চ আদালত থেকে কোনো স্বস্তির রায় পাওয়া যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে কংগ্রেস সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে।
রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন, আয়করের মতো কেন্দ্রীয় বিভাগগুলো বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে। কর দাবি বাতিল করতে কংগ্রেস দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কংগ্রেস নেতা অজয় মাকেন বলেছেন, বিজেপি গত কয়েক বছরে হাজার হাজার মানুষের কাছ থেকে অনুদান পেয়েছে এবং তাদের আয়করও হিসাব করা উচিত।
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ সাংবাদিকদের বলেন, বিজেপিও আয়কর আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করছে। কর বিভাগকে বিজেপির কাছ থেকে ৪ হাজার ৬১৭ কোটি রুপি আদায়ের অনুরোধ করছি।
রমেশের অভিযোগ, প্রিপেইড, পোস্টপেইড, পোস্ট-রেড ঘুষ ও শেল কোম্পানিগুলো’ ব্যবহার করে নির্বাচনী বন্ড কেলেঙ্কারির মাধ্যমে ৮ হাজর ২০০ কোটি রুপি সংগ্রহ করেছে বিজেপি। আর কংগ্রেসকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা হেরে যাব না।