আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে অতি ডান আর অতি বাম মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। কিন্তু সরকার দেশকে একটি টেকসই পর্যায়ে এনেছে। জনগণ সরকারের পক্ষে।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজ প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহাম্মদ, সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান, পুলিশ সুপার জাকির হাসান প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে ৩৩ দলের জোট হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশই ‘ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার’। আন্দোলনের নামে মাঠে সংঘাত করে লাভ নেই। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবে। নির্বাচনে সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ থাকবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো সুযোগ নেই।
বিএনপি-জামায়াতের উসকানিমূলক অপতৎপরতা, সরকার পতনের দিবাস্বপ্ন সফল হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি তারা নির্বাচনে আসবে। সব নিবন্ধিত দলকে আমরা স্বাগত জানাই।
বৈশ্বিক মন্দায় বিশ্বজুড়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সংকট এখন দেশে দেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দিতে কাজ করছেন। আমরা বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কে বলেছি। সংকটকে সম্ভাবনার রূপ দিতে কাজ করছি। আমাদের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব সংকটকালে জ্বালানি, ডলার, রিজার্ভ নিয়ে আমরা ভাবছি। পাকিস্তানে রিজার্ভ ৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। সে তুলনায় ভালো আছি সংকটেও দিশেহারা হইনি, আমরা ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সরকার দেশকে উন্নত দেশের পর্যায়ে নিয়ে চলেছে। মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি বলছেন যারা, তারা বাস্তবতার নিরিখে কথা বলছেন না। ঢাকা শহরে এখন রিকশায় উঠলেই ২০ টাকা গুণতে হয়।