গাজীপুরে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার তদন্ত শেষে ১১ কর্ম দিবসের মধ্যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি)।
সোমবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে জিএমপি সদর দপ্তরের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জিএমপির উপ-কমিশনার (ডিসি-ক্রাইম) রবিউল হাসান এ তথ্য জানান।
উপ-কমিশনার রবিউল হাসান বলেন, ঘটনা তদন্তের পর ৮ আসামির বিরুদ্ধে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করে আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তবে সাংবাদিক তুহিনের ব্যবহৃত মোবাইল দুটি বন্ধ থাকায় এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে প্রধান আসামি কেটু মিজান ওরফে কোপা মিজান (৩৪), তাঁর স্ত্রী পারুল আক্তার ওরফে গোলাপি (২৮), খুলনার সোনাডাঙ্গা উপজেলার ময়লাপোতা গ্রামের হানিফের ছেলে আল-আমীন (২১), কুমিল্লার হোমনা উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের হানিফ ভূঁইয়ার ছেলে শাহজালাল (৩২), পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া গ্রামের কিয়ামদ্দিন হাসানের ছেলে ফয়সাল হাসান (২৩), শেরপুরের নকলা থানার চিতলিয়া গ্রামের আবদুস সালামের ছেলে সুমন ওরফে সাব্বির (২৬), রফিকুল ইসলাম আরমান এবং শামীম হোসেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের স্ত্রী বলেন, মূলত যে ভিডিও করাকে কেন্দ্র কেরে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে সেই মোবাইল দুটি এখনো উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়া যে ৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপির) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও তুহিনের পরিবার এবং দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের সম্পাদক খায়রুল আলম রফিক উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে আটটার সময় গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তার মসজিদ মার্কেটে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দৈনিক প্রতিদিনের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে। এ হত্যাকান্ডে সর্বমহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের হাসান জামালের ছেলে। গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।