জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থতার সময় চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ডা. এসএম মোস্তফা জামানকে হত্যার হুমকির অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
এদের মধ্যে একজনকে বুধবার ঝিনাইদহ থেকে গ্রেফতারের কথা জানায় র্যাব। তবে র্যাবের পক্ষ থেকে গ্রেফতারকৃতের নাম-পরিচয়সহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
বুধবার রাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট সাঈদীর চিকিৎসকের দায়েরকৃত জিডিতে অভিযুক্ত হাফিজা মাহবুবা বৃষ্টিকে (৩২) রাজধানীর উত্তরা গ্রেফতার করে। ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে বুধবার ডা. এসএম মোস্তফা ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন। সেখানে তিনি বলেন, আমি বর্তমানে কতিপয় ব্যক্তিদের আচরণে ভীত ও শঙ্কিত। কয়েকটি ফেসবুক ও ইউটিউব পেজের ব্যবহারকারী এবং তাদের অনুসারীরা যে কোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের খুন-জখমসহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
ডা. জামান আরও বলেন, আমরা একজন সাধারণ রোগীকে যেভাবে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করি, তাকেও (সাঈদী) সেভাবেই চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তার চিকিৎসায় কোনো ধরনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। আমরা তাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের চিকিৎসা দিয়েছি। কোনো ধরনের ভুল চিকিৎসা বা অপচিকিৎসার ঘটনা ঘটেনি।
গত ১৩ আগস্ট দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী অসুস্থ অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। হৃদরোগ বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক চৌধুরী মেশকাত আহমেদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন গত ১৪ আগস্ট রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিএসএমএমইউতে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিশেষজ্ঞ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ছিলেন ডা. মোস্তফা জামান।
সাঈদীর মৃত্যুর পর জামায়াতের নেতাকর্মীরা হাসপাতাল এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পরদিন মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ’র হৃদরোগ বিভাগের চিকিৎসক এসএম মোস্তফা জামানকে অপরিচিত একাধিক মোবাইল নম্বর থেকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
২০১৯ সাল থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে কাশিমপুর কারাগারে ছিলেন দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ২০১০ সালের ২৯ জুন রাজধানীর শাহীনবাগের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।