শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সানজিদাকে নিয়ে সেদিন যা ঘটেছিল, বললেন বারডেমের নিরাপত্তা কর্মকর্তা

-বিজ্ঞাপণ-spot_img

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে বেধড়ক মারধরের ঘটনায় এবার মুখ খুললেন বারডেমের নিরাপত্তা কর্মকর্তা ওয়ারেছ আলী।

সেদিন বাস্তবিক অর্থে সেখানে কী ঘটেছিল তা তুলে ধরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন তিনি। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ইব্রাহীম কার্ডিয়াক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ঘটনা সম্পর্কে অবগত করে চিঠি দেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়, শনিবার রাত ৮টার দিকে হাসপাতালে আসা একদল দর্শনার্থী ইটিটি (এক ধরনের শারীরিক পরীক্ষা) কক্ষের সামনে মারামারি করেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট পরিদর্শন করে এসে তিনি এই মারামারি দেখতে পান। দুই পক্ষকে অনুরোধ করে তিনি মারামারি থামাতে সমর্থ হন। পরে ৯৯৯-এ ফোন করলে পুলিশ এসে দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে যায়।

এতে ওয়ারেছ আলী বলেন, মারামারিতে লিপ্ত ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে, প্রথমে তারা পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অনুরোধ করলে তারা পরিচয় দেন।

সে অনুযায়ী, একজন রাষ্ট্রপতির এপিএস (একান্ত সহকারী সচিব আজিজুল হক) এবং অন্যজন হচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তা (বরখাস্ত হওয়া রমনা অঞ্চলের এডিসি হারুন অর রশিদ)। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রমনা ও শাহবাগ থানার পুলিশ এসে তাদের নিয়ে যায়।

এদিকে ঘটনার বর্ণনায় এডিসি সানজিদা গণমাধ্যমকে জানান, হারুন স্যারের সঙ্গে আমার বিয়ের কল্পকাহিনী প্রচার করা হচ্ছে। হারুন স্যারের সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত সম্পর্ক নেই। তিনি শুধুমাত্র আমার কলিগ। শনিবার রাতে বারডেম হাসপাতালে আমি চিকিৎসা নিতে যাই। আমি ডাক্তারের সিরিয়ালের জন্য এডিসি হারুনের শুধু সহযোগিতা নিয়েছিলাম। হারুন সেখানে এসে আমাকে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সেখানে তাকে (হারুন) পেটানো হয়।

আমি ইসিজি রুমে থাকাকালীন এ হামলার ঘটনা ঘটায় দেখতে পাইনি। এসময় আমার হাজব্যান্ডের কথা শুনতে পাই। পরে কয়েকজন মিলে এডিসি হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে আসে। সেখানে বেশ কয়েকজন ছেলে ছিল। আমি তাদের কাউকে চিনি না।

আলোচনার সূত্রপাত

গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। তাদের গুরুতর আহত অবস্থার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলেই শুরু হতে থাকে আলোচনা–সমালোচনা।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।

শেয়ার করুন

সর্বশেষ নিউজ

চব্বিশের বিপ্লব, নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বীকৃতি পাবেন

জুলাই অভ্যুত্থানের নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্র তাদের এ নামে অভিহিত করবে। ইতোমধ্যে তাদের নামের তালিকা করা...

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে: খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা বলেছেন, এখনও ফ্যাসিস্টের দোসররা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি...

‘আজাক ভবন কিনেছেন নাহিদের বাবা’—গুজবের জবাব নিয়ে প্রকাশ্যে সেই বাড়ির মালিক

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাবা রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে অবস্থিত ‘আজাক ভবন’ নামে একটি ভবন ১০ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছেন...

নতুন দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’, নেতৃত্বে নাহিদ-আখতার

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ‘জাতীয় নাগরিক পার্টি’। দলটির আহ্বায়ক হচ্ছেন নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব হচ্ছেন...

সম্পর্কিত নিউজ

চব্বিশের বিপ্লব, নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতরা ‘জুলাই যোদ্ধা’ স্বীকৃতি পাবেন

জুলাই অভ্যুত্থানের নিহতরা ‘জুলাই শহীদ’ ও আহতদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ নামে স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। রাষ্ট্র...

গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে একযোগে কাজ করতে হবে: খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা বলেছেন, এখনও ফ্যাসিস্টের দোসররা চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে...

‘আজাক ভবন কিনেছেন নাহিদের বাবা’—গুজবের জবাব নিয়ে প্রকাশ্যে সেই বাড়ির মালিক

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বাবা রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীতে অবস্থিত...
Enable Notifications OK No thanks