মাদারীপুর সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদারের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর মা।
এর আগে, গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী তরুণী পরিবারের সঙ্গে সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদারের বাসায় ভাড়া থাকতো। তরুণীর মা একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস সহায়ক, বাবা দিনমজুর। শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়েকে তারা বাসায় রেখেই কাজে যান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃষ্টি হয়, এ সময় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল সরদার ভুক্তভোগীর ঘরে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। সন্ধ্যায় তরুণীর বাবা-মা ঘরে এলে ঘটনাটি টের পান। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে তারা তাদের মেয়েকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরই আত্মগোপনে চলে যান অভিযুক্ত বাবুল সরদার।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, তারা গত কয়েক মাস ধরে চেয়ারম্যানের বাড়িতে ভাড়া থাকছেন। বাবুলকে তারা অভিভাবক মনে করতেন। তাদের মেয়ে চেয়ারম্যানকে দাদা বলে ডাকতেন। সুযোগ দিয়ে চেয়ারম্যান এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন, তারা সমাজে মুখ দেখাতে পারছেন না। সবাই তাদের ভয় দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান সাবেক হলেও গ্রামে প্রভাবশালী সালিশদার। তার ভয়ে কেউ আমার পাশে নেই। সবাই ভয় পাচ্ছে। এ অবস্থায় মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে চলে আসছি। আমি এই ঘটনার বিচার চাই।
ঘটনা অস্বীকার করে অভিযুক্ত বাবুল সরদার জানান, ওই তরুণীর পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আমার বাড়িতে ভাড়া থাকে। তার বাবা আমার কাছে বিদেশ যাবার কথা বলে ৫ লাখ টাকা ধার চেয়েছিল কিছুদিন আগে। আমি টাকা না দেওয়ায় স্থানীয়ভাবে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এটা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাতেই তারা ধর্ষণের অভিযোগ পান। শুক্রবার সকালে মামলা রেকর্ড হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয় তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত আসামি সাবেক চেয়ারম্যান বাবুল সরদার এলাকায় নেই। তাকে গ্রেপ্তারের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।