চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাবেক স্ত্রীর পাঁচ ভাইয়ের হামলায় সেতাউর রহমান (২৫) নামের এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। ২৭ তারিখ মঙ্গলবার গুরুতর অবস্থায় প্রথমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়,পড়ে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার্ড করা হয় বুধবার দুপুরে তাকে সংকটাপন্ন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আহত সেতাউর চাপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ১২ নং চরপাকা ইউনিয়নের চরপাকা গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে। ২৭ তারিখ মঙ্গলবার দুপুরে চাপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউিনিয়নের কালুপুর গ্রামে তার ওপর হামলা হয়।
সেতাউরের বাবা মিজানুর রহমান জানান, কালুপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের মেয়ে রহিমার সঙ্গে মাত্র একমাস আগে আমার ছেলে সেতাউরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে সেতাউরের শ্বশুর বাড়ির লোকজন কালুপুর গ্রামে সালিশ ডাকেন। তারা সে সালিশে যান। সালিশে তালাকের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর দেনমোহরের ৮০ হাজার টাকাসহ মোট আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেন স্থানীয় মোড়ল মাতব্বররা। তারা তাৎক্ষণিক টাকা পরিশোধ করে দেন। সালিশ শেষ হলে তারা দুপুর আনুমানিক একটার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সেতাউরের সাবেক স্ত্রীর বড় ভাই কামরুল এবং নিকটাত্মীয় জাহাঙ্গীর ও আলমসহ ১০ থেকে ১২ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালান।
ইফতেখার আহমেদ রোমিও বলেন, কামরুল ধারালো ছুরি দিয়ে সেতাউরের ওপর ঝাপিয়ে পড়েন। সেতাউরের মাথার বাম দিকের ওপর থেকে গলার নিচ পর্যন্ত আঘাত করেন। একসময় সেতাউর নিস্তেজ হয়ে গেলে আমি তাদের কাছে হাতজোড় করে সেটাউরের জীবন ভিক্ষা চাই তার পরেও তারা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারে।
এ ঘটনায় সেতাউরের নিকটাত্মীয় মোঃ সাইদুল ইসলাম (৪০) এবং ইফতেখার আহমেদ রোমিও (২৮) নামে আরও দু’জন আহত হয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত কামরুলসহ সকলের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কিবরিয়া বলেন, এই বিষয়ে মোঃ সেতাউরের পিতা মোঃ মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ৩০৭ ধারা অনুযায়ী একটি হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, আমরা মামলাটি আমলে নিয়ে আসামি ধরার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত একজনও আসামি গ্রেফতার হয়নি।