নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেছেন,নারায়ণগঞ্জ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক মহা উদাহরণ।যুগ যুগ ধরে পূজার কাজ আর মুসলিমসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদেরও কাজ একসাথে হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে কখনও সংঘর্ষ হয়নি। কারণ আমরা একে-অন্যের সম্পূরক হিসেবে কাজ করি।
রবিবার(২ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় রামকৃষ্ণ মিশনের পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে তিনি এমনটা জানান। এর আগে সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে নির্মিত রামকৃষ্ণ মিশনের প্রধান গেইট ও তোরণ উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আইভী।
সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জে মুসলিম কবরস্থান, হিন্দুদের শ্মশান ও খ্রিস্টানদের কবরস্থান একসাথে। অর্থাৎ আমরা জীবিত অবস্থায়ও মিলেমিশে আছি আবার শেষ গন্তব্যেও আমরা পাশাপাশি আছি। সারা বাংলাদেশের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সম্প্রতির এক মহা উদাহরণ।
সকল ধর্মের ঊর্ধ্বে উঠে আমি মানবধর্মে বিশ্বাসী হয়ে কাজ করছি জানিয়ে তিনি বলেন, আমি মুসলিম কিন্তু আমি মানবধর্মে বিশ্বাসী। আমার বাবা ছোটবেলা থেকে আমাকে তাই শিখিয়েছেন। আমি অহিংস রাজনীতিতে বিশ্বাস করি বলেই হাজারো ঝড়-ঝাপ্টা উপেক্ষা করে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি। কোনো ধরনের রাজনৈতিক উসকানি বা বিশৃঙ্খলা আমরা প্রতিহত করব একসাথেই।
নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি শারদীয় দুর্গোৎসবের শুভেচ্ছা জানিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিটি মেয়র বলেন, মা (দেবী) প্রতিবছরই আসেন, আশীর্বাদ করে যান। সকল অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি আমাদের সাহস জোগান। আমরা সেই মায়ের সাহস নিয়ে নারায়ণগঞ্জে কাজ করতে চাই। আমাদের ঘরেও কিন্তু মা আছেন। এই মায়ের মধ্যেই দুর্গাকে দেখতে হবে। নিজের মায়ের মধ্যে দুর্গাকে দেখতে না পারলে সে জীবনে কিছুই দেখতে পারবে না।
আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন শ্মশান, কবরস্থান, মসজিদ, মন্দির, খেলার মাঠ, ঈদগাহ নিয়ে কাজ করছি। রামকৃষ্ণ মিশনে কাজ করেছি। নাগমহাশয়ের মন্দির নিয়ে কাজ করতে চাই।
এ সময় রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ একনাথনন্দ মহারাজ, সাধুনাগ মহাশয় আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক তারাপদ আচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আদিনাথ বসু, জেলা মহিলা পরিষদের সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়, স্থানীয় কাউন্সিলর অসিত বরণ বিশ্বাস, শওকত হাশেম শকু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন৷