ক্ষমতাসীন দলের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের বিপরীতে এবার এক দফা দাবিতে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ‘সার্বজনীন ভোট বর্জনে’র ডাক দিয়েছে বিএনপি।
শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সকালে দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান।
আবদুল মঈন খান বলেন, আমরা বলতে চাই, এ সরকারের সময় ফুরিয়ে এসেছে। তাদের অন্যায় ও অবৈধ হুমকিকে পরোয়া করার কোনো কারণ নেই। সার্বজনীন ভোট মাধ্যমে চলমান আন্দোলনে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন ও অংশগ্রহণ একদলীয় শাসনের কবল থেকে দেশের মানুষ শিগগিরই মুক্তি পাবে এই প্রত্যাশা আমরা ব্যক্ত করছি।
এ কর্মসূচিতে দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা এ জনপ্রতিনিধিত্ববিহীন সরকারের কোনো হুমকি-ধামকি অথবা তাদের কোনো ভয়-ভীতিতে চিন্তিত হবেন না। আপনারা সাহসিকতার সঙ্গে সেই সরকারের প্রদত্ত ভয়ভীতির মোকাবিলা করুন, যে বা যারা আপনাকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চায় তাদের চিহ্নিত করুন।
মঈন খান বলেন, ভাতা কার্ড জব্দ কিংবা বন্ধ করে বা জাতীয় পরিচয়পত্র ছিনিয়ে নিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্যকরণের মতো কোনো অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত হবেন বা হচ্ছেন ভবিষ্যতে তাদের আইনের কাছে জবাবদিহি করতে হবে।
মঈন খান বলেন, আপনারা দেখেছেন, আজ থেকে অল্প কয়েক মাস আগে এক উপনির্বাচনে ৫৩ সেকেন্ডে ৪৭টি ভুয়া ভোটের সিল মারা হয়েছিল। আমরা বলব এটা গিনেস বুকের রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সেই ধারায় ৭ জানুয়ারির পাতানো নির্বাচনে তারা আরেকটি কলঙ্কিত অনিয়ম ঘটাতে যাচ্ছে। সেটা আমাদের কারো বলার অপেক্ষা রাখে না।
রাজধানীর গুলশান এলাকায় মঈন খানের বাসভবনে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান।