সকাল হলেই নির্বাচন। আগের রাতে সিলেটের অন্তত ছয়টি ভোটকেন্দ্রের সামনে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে আগুনে কোনো কেন্দ্রের তেমন ক্ষতি হয়নি।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) রাত আটটার পর থেকে একের পর এক এসব আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সিলাম, সদর উপজেলার টুকেরবাজার, টুলটিকর এলাকা; নগরের টিবিগেট, ইলেকট্রিক সাপ্লাই এলাকাসহ অন্তত ছয়টি স্থানের ভোটকেন্দ্রের সামনে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ঊর্মি রায় রাত নয়টার দিকে জানান, তাঁর উপজেলার সিলামে কোনো অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি।
তবে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, সিলেট নগর ও সদর উপজেলার কয়েকটি স্থানে ভোটকেন্দ্রের সামনে অগ্নিসংযোগ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। তবে সেসব মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি আছে।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, ভোটকেন্দ্রগুলোর সামনে হঠাৎ করে দুর্বৃত্তরা এসে টায়ার, কাঠ কিংবা বিভিন্নভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি একাধিক ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। এতে আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
দুর্বৃত্তরা আগুন দেওয়ার সময় ‘ভোট চোর ভোট চোর, এই সরকার ভোট চোর’, ‘প্রহসনের ভোট মানি না, মানব না’ বলে স্লোগান দেয়।
সিলেটের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক একটি গণমাধ্যমকে জানান, সিলেট সদর উপজেলার সিরাজুল ইসলাম আলিম মাদ্রাসা ও হাজী আবদুস সাত্তার উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে দুর্বৃত্তরা আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে এতে ভোটকেন্দ্রের কোনো ক্ষতি হয়নি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জেলাজুড়ে কড়া নজরদারি রাখছে।
তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট শেষ করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তবে ককটেল নয়, দুর্বৃত্তরা পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।