সিলেট সদর উপজেলার বড়শালা থেকে দুই পরিবারের আট সদস্যকে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার সকালে স্থানীয়রা অজ্ঞান অবস্থায় টিনশেডের একটি বাসা থেকে তাদের উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন।
তারা হলেন- সাজেদা বেগম (৫০), তার ছেলে সোহানুর রহমান সাগর (১৭), একই পরিবারের মেয়ে নিগার সুলতানা (২৯) এবং অন্য পরিবারের ৫৭ বছর বয়সী রানী দে, সুভাষ চন্দ্র দে (৬৫), শ্রীভাস চন্দ্র দে (৬০), সত্যেন দে (৩৫), শিবানী চন্দ্র দে (৫২) ও গৌরী।
জ্ঞান ফেরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিগার সুলতানা বলেন, শুক্রবার রাতে দুই পরিবারের সদস্যরা রাতের খাবার খেয়ে নিজ নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। তবে তার ভাই সাহেদ আহমদ রাতে অন্যত্র খেয়ে আসায় বাসায় রাতের খাবার খাননি। সাহেদ প্রায় পুরো রাতই জেগে ছিলেন।
তিনি বলেন, শনিবার ভোর ৫টার দিকে আমাদের চোখে জ্বালাপুরা করছিল। তখন চিৎকার করে ঘুম থেকে উঠি। তারপর কয়েকবার বমিও করি। চিৎকার শুনে আমার ভাই দৌঁড়ে এসে দেখেন, রান্নাঘরের জানালার গ্রিল কাটা।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল জাকির বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি চোরেরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা কিছু আলামত জব্দ করেছি। তবে বিস্তারিত তদন্তের আগে এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাবে না।
গত ২৬ জুলাই সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার একটি ভাড়া বাসা থেকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক পরিবারের পাঁচ সদস্যকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে দুই সদস্যের মৃত্যু হয়।
তারা হলেন রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তার ১৬ বছরের ছেলে মাহিকুল ইসলাম।
গত ৬ আগস্ট রফিকুল ইসলামের মেয়ে সামিরা ইসলাম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।