টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে সিলেট নগরীসহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বন্যাকবলিতদের। বন্যায় বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।
এদিকে বন্যার পানি ইতোমধ্যেই সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের কাছাকাছি চলে এসেছে। এতে সিলেটের সঙ্গে সারাদেশ ও বিদেশের বিমান যোগাযোগ বন্ধ হতে যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) দুপুরে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ম্যানেজার হাফিজ আহমদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বন্যার পানি ইতোমধ্যেই রানওয়ের কাছাকাছি চলে এসেছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতিদিনের মতোই আমাদের ফ্লাইটগুলো বিমানবন্দরে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। কিন্তু রানওয়ের কাছাকাছি বন্যার পানি চলে আসায় এখন থেকে আর কোনো ফ্লাইটের অবতরণ কিংবা উড্ডয়ন সম্ভব হবে না বলে মনে হচ্ছে। অফিসিয়ালি ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা চলে আসবে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করায় সিলেটে বানভাসি মানুষকে উদ্ধারে কাজ শুরু করছে সেনাবাহিনী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনোয়ার সাদাত।
তিনি বলেন, বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করা আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ। যেভাবে পানি বাড়ছে তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। বন্যাকবলিত অঞ্চলে আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধার করতে ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি, অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টিম বানভাসি মানুষকে উদ্ধার করে নিরাপদে নিয়ে আসবে।
সিলেটের জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, লামাকাজী, বিশ্বনাথ এবং ওসমানীনগরসহ সবকটি এলাকায় পানিতে টইটুম্বুর করছে। অনেক জায়গায় নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার বেশ ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেইসঙ্গে সুরমা, কুশিয়ারা, সারি, পিয়াইন নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়াতে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।