স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, বান্দরবানে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে এলাকায় মাদক চোরাকারবারির সাথে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় কারা জড়িত,তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরস্থ ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সের প্যারেড গ্রাউন্ডে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ-২০২২ এর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমনটা জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সীমান্তে ‘রোহিঙ্গা মাদক কারবারিরা’ বাংলাদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল। মাদকবিরোধী অভিযানের ওই জায়গাটি নোম্যান্সল্যান্ড। সেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান আছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিল।
সাধারণত এ ধরনের অভিযান গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনামাফিক অভিযান হয়ে থাকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্ঘটনাবশত একজন অফিসার সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন এবং কোন মাদক কারবারিরা গুলি করেছে এসব বিষয়সহ সবগুলো বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি।
এ ঘটনার সত্য উদঘাটন করে আমরা আপনাদের জানাবো বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এর আগে গতকাল সোমবার (১৪ নভেম্বর) বান্দরবানের তমব্রু সীমান্তে যৌথ অভিযানের সময় মাদক চোরাকারবারিদের গুলিতে ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহত হন এবং আহত হন র্যাবের এক সদস্য।
রাতেই এক বিজ্ঞপ্তিতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের এসব তথ্য জানানো হয়।