নিয়ন্ত্রণরেখায় উত্তেজনার মধ্যে সাদা পতাকা উড়িয়ে আত্মসমর্পণের ইঙ্গিত দিয়েছে ভারত— এমন দাবি করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। বুধবার (৭ মে) পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়, সীমান্তবর্তী চুরা কমপ্লেক্স এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাদা পতাকা উড়াতে দেখা গেছে। এই ঘটনার পরই পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, “সাদা পতাকা উড়িয়ে ভারত কার্যত পরাজয় স্বীকার করেছে।” তিনি দাবি করেন, সীমান্তে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সফল প্রতিরোধ ও পাল্টা অভিযানে ভারতের একাধিক পোস্ট ধ্বংস হয়েছে।
আতাউল্লাহ তারার জানান, পাকিস্তানি বাহিনীর নিশানাভেদী আঘাতে শত্রুপক্ষের বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তিনি বলেন, “ভারতীয় মিডিয়াতেও ইতোমধ্যে ভেঙে পড়া ভারতীয় বিমান বাহিনীর যুদ্ধবিমানের ছবি প্রকাশিত হয়েছে, যা আমাদের সফল অভিযানের প্রমাণ।” তিনি আরও জানান, নিয়ন্ত্রণরেখার বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় পোস্টে একাধিক সাদা পতাকা উড়তে দেখা গেছে। আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, সামরিকভাবে সাদা পতাকা উত্তোলন আত্মসমর্পণের প্রতীক হিসেবেই বিবেচিত হয়।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত সাধারণ মানুষের ওপর হামলা চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করলেও পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী কেবলমাত্র সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে। বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু নয়, বরং কৌশলগত সামরিক অবস্থানগুলোতেই আমাদের প্রতিরোধের জবাব দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “রাতভর চলা অপারেশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী দেখিয়ে দিয়েছে যে, আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপসহীন। প্রতিটি আঘাতের যথাযথ জবাব দিতে আমরা প্রস্তুত এবং তার বাস্তব প্রমাণ এখন সীমান্তেই দেখা যাচ্ছে।”
সীমান্তে চলমান এই পরিস্থিতি নিয়ে এখনো ভারতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পাকিস্তান সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের বরাতে জানা গেছে, নিয়ন্ত্রণরেখায় এই মুহূর্তে ভারতীয় বাহিনী চাপে রয়েছে এবং প্রতিরোধহীন অবস্থানে গিয়ে পতাকা উত্তোলন করেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ঘটনাকে দ্বিপক্ষীয় উত্তেজনার একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবেই দেখছে ইসলামাবাদ।