এস এম সাইফুল ইসলাম, প্রতিনিধি: সুইডেনে আগাম ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঈদুল আজহার দিনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সদ্য কারামুক্ত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নেতৃবৃন্দগণ।
আজ (৩ জুলাই) সোমবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান কারামুক্ত সাবেক হেফাজত নেতারা।
বিবৃতিতে হেফাজত নেতারা বলেন, ধর্মীয় গ্রন্থ পুড়িয়ে ফেলা চরম অসম্মানজনক ও উসকানিমূলক। এই ঘটনা বিশ্বের সকল মুসলমানের হৃদয়ে আঘাত হেনেছে। এ ঘৃণিত কর্মকান্ডের মাধ্যমে ইউরোপীয়দের মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মুখে সভ্যতার বুলি আওড়ালেও তাদের মাঝে সভ্যতা ও শিষ্টাচারের লেশমাত্র নেই। ইসলাম বিদ্বেষী মহল চরমপন্থী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের অনুভূতিকে ইচ্ছাকৃতভাবে উসকে দিয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নাম দিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতমূলক কর্মকাণ্ড কখনো গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একটি ঘৃণ্য কাজ।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অন্যের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে বাকস্বাধীনতার নামে চালিয়ে দেয়ার ধৃষ্টতা মুসলিম উম্মাহ কখনো বরদাশত করতে পারে না। এ ধরনের কান্ডজ্ঞানহীন কাজ সমাজে শুধু ঘৃণা-বিদ্বেষই সৃষ্টি করে না, সহিংসতারও জন্ম দেয়। আমরা এ ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এসময় কারামুক্ত সাবেক হেফাজত নেতারা পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সুইডেন সরকারের প্রতি আহবান জানান এবং ইসলামের বিরুদ্ধে সব ধরনের ষড়যন্ত্র ও কর্মকান্ড বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘ, ওআইসি এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আহবান জানিয়েছেন।
কারামুক্ত হেফাজত নেতারা হলেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মুফতি হারুন ইজহার, মুফতি আজহারুল ইসলাম, মাওলানা নাসিরুদ্দিন মুনির, মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জি, মাওলানা গাজী ইয়াকুব ওসমানী, মুফতি শরীফ উল্লাহ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা এহসানুল হক, মাওলানা হাফেজ এহতেশামুল হক সাখী,মাওলানা শরিফ হুসাইন, মাওলানা আহমদুল্লাহ, মাওলানা হাফেজ সানাউল্লাহ, মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা ইন’আমুল হাসান ফারুকী, মাওলানা মঞ্জুরুল হাসান নাদিম প্রমুখ।