সুইডেনে আগাম ঘোষণা দিয়ে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ঈদুল আজহার দিনে পবিত্র কুরআন পোড়ানোর ঘটনার প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলার সদরের বেলগাছি রেলগেটে প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার দ্বীনি ও সেবামূলক সংগঠন ‘সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদ’।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বাদ জুমা বেলগাছি রেল গেট সংলগ্ন ত্রিমুখী চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি হাফেজ মাওলানা সারওয়ার হুসাইন।
প্রতিবাদী সমাবেশে বক্তারা বলেন, কুরআনের অবমাননা কোনো মুসলমানদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব না। তাই আমরা এর প্রতিবাদে রাজপথে নেমে এসেছি। সুইডেনে এর আগেও এমন নিন্দনীয় অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। কেন এমন ঘটনা বারবার ঘটছে তা বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানাচ্ছি আমরা।
বক্তারা বলেন, বিশ্বমানবতার মুক্তির সনদ হলো মহাগ্রন্থ আল কোরআন। এই মহাগ্রন্থের যেকোন ধরনের অবমাননা বিশ্ব মুসলিম বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না । যারা কুরআনের অবমাননা করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
বিক্ষোভে বক্তারা আরও বলেন, সুইডেনে কুরআন পোড়ানো হয়নি, বরং বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয় পোড়ানো হয়েছে। এই ঘটনায় গোটা বিশ্বের মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। আমরা এটা কোনভাবেই মেনে নিতে পারছি না।
সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে তারা বলেন, সুইডেনের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদ জানানোয় বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে দাবী জানাচ্ছি, যতদিন পর্যন্ত সুইডেন সরকার বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা না করবে ততদিন পর্যন্ত সুইডিশ দূতাবাস বন্ধ রাখা হোক এবং রাষ্ট্রীয় সকল সম্পর্ক ছিন্ন রাখা হোক।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে সম্মিলিত উলামা কল্যাণ পরিষদের পক্ষ থেকে চুয়াডাঙ্গা শহরে এক হাজার কুরআন শরীফের কপি বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে নেতৃবৃন্দ।
আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা হাসানুজ্জামান, মাওলানা আব্দুর রশিদ রজব, মাওলানা মাহফুজুর রহমান মাফী, মাওলানা আমীর খসরু, মাওলানা সাইফুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা জুনাইদ আল হাবিব, মাওলানা ফয়জুল্লাহ আল মুনির, মাওলানা জামাল উদ্দিন প্রমুখ।