পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাতায়াত সহজ হওয়ায় সুন্দরবন ও ঐতিহাসিক ষাট গম্বুজ মসজিদসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যটকদের প্রচুর ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পর্যটকদের ক্রমবর্ধমান ভিড় নিয়ন্ত্রণে সুন্দরবনে আরও চারটি ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার খুলতে যাচ্ছে বন বিভাগ।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সুন্দরবনে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। ভিড় সামলাতে নতুন করে আলীবান্দা, আন্দারমানিক, শেখেরটেক এবং কালাবগিতে আরও চারটি ইকোট্যুরিজম সেন্টার চালু করা হচ্ছে। পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য সুন্দরবনের করমজল, হারবারিয়া, কলাগাছিয়া, কটকা, কচিখালী, দুবলা এবং হিরোনপয়েন্ট এলাকায় সাতটি ইকোট্যুরিজম সেন্টার রয়েছে।
পর্যটকরা করমজল, হারবাড়িয়া এবং কলাগাছিয়া তিনটি কেন্দ্রে একটি নির্দিষ্ট প্রবেশ মূল্য দিয়ে যেতে পারেন এবং তাদের দিনের মধ্যে ফিরতে হবে। পর্যটকদের অন্য জায়গায় যেতে আগে বন বিভাগের অনুমতি নিতে হয়।
ডিএফও বেলায়েত জানান, গড়ে প্রতি বছর দেশি-বিদেশি এক লক্ষাধিক পর্যটক সুন্দরবন ভ্রমণ করেন। সুন্দরবন বিভাগ পর্যটনখাত থেকে বছরে এক কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আয় করছে। সুন্দরবন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১০ লাখেরও বেশি মানুষের জীবিকা নির্বাহ করে। এই ম্যানগ্রোভ বন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষকে ঘূর্ণিঝড় ও বন্যা থেকে রক্ষা করে আসছে।
খুলনা বিভাগে সুন্দরবন ছাড়াও ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে পরিচিত ষাট গম্বুজ মসজিদ। প্রায় ৬০০ বছরের পুরাতন এই মসজিদের ইটের দেওয়ালে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন টেরাকোটা।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. জায়েদ জানান, পর্যটকদের আকর্ষণে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় এক হাজার পর্যটক ষাট গম্বুজ দেখতে আসেন। গত বছর প্রায় পাঁচ লাখ পর্যটক ঐতিহাসিক মসজিদটি পরিদর্শন করেন যেখান থেকে মসজিদটি রাজস্ব পেয়েছে ৫৭ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতুর কারণে পর্যটকের সংখ্যা ও আয় বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
বাগেরহাট ট্যুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক মোশারফ হোসেন জানান, পর্যটকদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা দিতে ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে।