সুষ্ঠু নির্বাচনে সরকারের প্রতিশ্রুতিতে আশ্বস্তবোধ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এছাড়া নির্বাচন ভালো হবে নাকি হবে না তা রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতার ওপর নির্ভর করছে বলেও জানান তিনি।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এ কথা জানান।
সিইসি বলেন, সঙ্কট নিরসনে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সরকারও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা অত্যন্ত আশ্বস্তবোধ করছি যে, প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী নির্বাচন তারা সুষ্ঠু করতে চান। এর আগে কিন্তু সরকার কখনো এ প্রতিশ্রুতি দেয়নি। এই প্রথমবারের মতো সরকার এ প্রতিশ্রুতি দিলো। আইনমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী, যোগাযোগমন্ত্রী- উনারা ‘সরকার’ শব্দটা ব্যবহার করেছেন। প্রধানমন্ত্রীও স্পষ্টভাবে কয়েকবার বলেছেন- সরকার আগামী নির্বাচনে নিশ্চয়তা দিচ্ছে। আমি বলবো আস্থা রাখতে চাই।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা একটা কঠিন অবস্থায় আছি। এটা বিলেতের নির্বাচন না। অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচন করতে যাচ্ছি না। সঙ্কট আছে- আপনারা বলেছেন, আমরাও অনুধাবন করি। সেই সঙ্কট নিরসন করতে হবে রাজনৈতিক নেতাদের। এ কথা বারবার বলেছি- আমাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ রাজনীতিবিদরা যদি তৈরি করে না দেন, তাহলে আমাদের পক্ষে নির্বাচন করাটা কষ্টসাধ্য হবে। আর যদি পরিবেশ অনুকূল করে দেন তাহলে কাজ সহজ হবে।
‘সরকার’ ও ‘দল’কে সব সময় তালগোল পাকিয়ে ফেলা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভাজনটা বুঝতে হবে। সরকার ও দল ভিন্ন জিনিস। সরকারি দল বলতে কোনো শব্দ সংবিধানে নেই। এটা হয়তো মুখে বলে থাকি। যখনই একটা সরকার হয়ে যাবে, তখন সে সব দলের, সব জনগণের, পুরো দেশকে রিপ্রেজেন্ট করে।
সমঝোতার প্রসঙ্গ টেনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা বারবার সমঝোতার কথা বলেছি। চায়ের টেবিলে বসেন আপনারা। কিন্তু পলিটিক্যাল কালচার এমন হয়েছে যে, কেউ কারো সঙ্গে বসতে চাচ্ছেন না। ইসি এ সমস্যার সমাধান করে না। দেশজ পদ্ধতিতে (সমাধান) এটা হতে হবে। কিন্তু দুঃখজনক সে ধরনের সিভিল সোসাইটি দেখতে পাচ্ছি না।
সকালে নির্বাচন ভবনে দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা চলে। এতে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সাবেক নির্বাচন কমিশনার, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ, সাবেক সচিব, সাবেক রাষ্ট্রদূত, গণমাধ্যম সম্পাদক এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা অংশ নেন।