বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি আগের চেয়ে ভালো আছেন এবং একা হাঁটাচলাও করতে পারছেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল ‘দ্য ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন রোববার স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ আপডেট দেন।
ডা. জাহিদ জানান, বেগম খালেদা জিয়া ক্লিনিকের ভেতরে একা হাঁটাচলা করছেন এবং দেশের খবর নিচ্ছেন। তার চিকিৎসার ধরনে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। চিকিৎসার অংশ হিসেবে তিনি নিয়মিত ফিজিওথেরাপি পাচ্ছেন। নেফ্রোলজিস্ট, কার্ডিওলজিস্ট ও ইনটেনসিভিস্টরা নিয়মিত তার স্বাস্থ্যের দেখভাল করছেন।
খালেদা জিয়ার পরিবার তার চিকিৎসার সময় সার্বক্ষণিকভাবে তার পাশে রয়েছে। ছেলে তারেক রহমান প্রতিদিন বাসা থেকে মায়ের জন্য নিজ হাতে খাবার নিয়ে আসছেন। নাতনি ব্যারিস্টার জাইমা রহমানসহ পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখাশোনা করছেন। এ কারণে তিনি মানসিকভাবে উৎফুল্ল এবং আগের চেয়ে ভালো আছেন।
মেডিক্যাল বোর্ডের সমন্বিত বৈঠক আগামী মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে তার স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে তার কিছু বিশেষ পরীক্ষা করানো হতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যে সফররত জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন। পরে তিনি জানান, “ম্যাডামকে দেখে ভালো লেগেছে। তিনি মানসিকভাবে সবসময় স্ট্রং ছিলেন, যা তাকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করছে।”
আফরোজা আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বেগম জিয়া দ্রুত সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে জনগণের হাল ধরবেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপির নেতাকর্মীরা তাদের নেত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন এবং তাকে ঘিরে ইতিবাচক আশাবাদ প্রকাশ করেছেন।