বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় লাঠিপেটার ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশের নিজস্ব তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।
সোমবার (২২ আগস্ট) বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডিআইজি বলেন, ‘১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের আচরণ পুলিশ সার্ভিস রুলের পরিপন্থি হওয়ায় কমিটি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। যেহেতু তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছেন, তাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।
তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে, তার সব কিছুই খতিয়ে দেখা হয়েছে। ‘
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে। এ সময় বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বের হন এমপি শম্ভু। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কাছে লাঠিপেটার কারণ জানতে চান তিনি।
তখন মহরম আলী এমপির সঙ্গে তর্কে জড়ান। বলেন, ‘স্যার, আমাদের গাড়ি ভেঙেছে ছাত্রলীগ। আমাদের গাড়ি ভাঙল কেন জবাব দিয়ে যেতে হবে। ‘
পরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ সরকার ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন খান।