দেশের জনপ্রিয় তারকাদের অংশগ্রহণে গত ৫ মে সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হয়। টি-২০ ফরম্যাটে আয়োজিত ৫ দিনব্যাপী এই টুর্নামেন্টে অংশ নেয় মোট চারটি দল। দলগুলো হলো- টাইটানস, নাইট রাইডার্স, জেভিকো কিংস ও স্বপ্নধরা স্পারটানস।
দর্শকদের বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের প্রতিভা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার লক্ষে মূলত আয়োজন করা হয় সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর। তবে এবারের আসরে ক্রিকেট খেলার চেয়ে অশ্লীলতাই বেশি ধরা পরে দর্শকদের চোখে। তারকাদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও পোশাক নিয়ে নেট দুনিয়ায় শুরু হয় আলোচনা ও সমালোচনা।
ইতিমধ্যেই অশ্লীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ৯ জনের নামে পাঠানো হয়েছে লিগ্যাল নোটিশ। এই তালিকার প্রথমেই উঠে এসেছে ডিরেক্টর প্রবীর রয় চৌধুরীর নাম। এরপর রয়েছেন, নির্মাতা গিয়াস উদ্দিন সেলিম, তানিম রহমান অংশু, অভিনেত্রী মারিয়া মিম, সিনথিয়া ইয়াসমিন, কেয়া পায়েল, মারুফা আক্তার জামান, মডেল শাম্মি ইসলাম নীলা ও আলিশার নাম।
লিগ্যাল সাপোর্ট লফার্মের পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে যে অশ্লীলতা ছড়িয়েছে, তা কোনোভাবেই পারিবারিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। ক্রিকেট একটি সম্মানজনক খেলা। অথচ এই টুর্নামেন্টে কিছু নারী খেলোয়াড় এমন পোশাক ও আচরণে অংশ নিয়েছেন, যা অশালীন ও দৃষ্টিকটু। এটি সরাসরি ক্রিকেটের ইজ্জত নষ্ট করছে।
অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন আরও বলেন, আমরা ৯ জন সেলিব্রিটির কাছে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি। কেন তারা ক্রিকেটের নামে এমন অশ্লীলতা ছড়িয়েছেন, তার জবাব ১৫ দিনের মধ্যে দিতে হবে। ব্যর্থ হলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এদিকে মঙ্গলবার সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনাল ম্যাচে স্বপ্নধরা স্পারটান্সকে ৯ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় গিগাবাইট টাইটানস।
এই দলে খেলেছেন সিয়াম আহমেদ, শরিফুল রাজ, মেহজাবীন চৌধুরী, মৌসুমী হামিদ প্রমুখ। দলটির মেন্টর ছিলেন নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ।
সেলিব্রিটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি-২০২৫ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় নাসির হোসেনসহ এক ঝাঁক তারকা।