আগামীকাল রবিবার আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ সমাবেশ ঘোষণা দেওয়ায় সংঘাত এড়াতে সোমবার জনসমাবেশ করবে বিএনপি। রাজধানীতে আজ শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে হামলা ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আগামী ৩১ জুলাই (সোমবার) সারাদেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে সমাবেশ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
শনিবার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের পদত্যাগ, জাতীয় সংসদ বাতিল এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির ডাকা আজকের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে সরকার আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে ও দলীয় সন্ত্রাসীদের অন্যায় ও বেআইনিভাবে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে রাজধানীতে যে তাণ্ডব চালিয়েছে আমরা তার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আজ রাজধানীতে যে অত্যাচার নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে তার প্রতিবাদে আমরা আগামী পরশু ৩১ জুলাই সোমবার সারাদেশে সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। আগামীকালই আমরা প্রতিবাদ করার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে আগামীকাল সরকারি দল কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
‘আমরা তাই তাদের মতো একইদিনে কর্মসূচি দিয়ে সংকট সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করব গণতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হবে না’, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
বিনা উস্কানিতে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে গুলি, টিয়ারগ্যাস চালানো দেখে স্তম্ভিত হয়েছে সবাই উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, তাদের নির্মম আক্রোশে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মাথায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী আহত হওয়া এবং অগণিত নেতাকর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে যে এই সরকারের হাতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নন।
রাজধানীর মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, মাতুয়াইল ও শ্যামলীতে গাড়িতে আগুন দেওয়ার ও ভাঙচুর করার জন্য বিএনপিকে দায়ী করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। অথচ খবর বেরিয়েছে যে পুলিশের সামনেই এসব ঘটনা ঘটিয়ে অপরাধীরা নির্বিঘ্নে চলে গেছে। কারা এটা করতে পারে তা অনুমানের জন্য বেশি বুদ্ধিমান হওয়ার প্রয়োজন নেই।
‘নিজেরা অপরাধ করে বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিচ্ছি’, জানান বিএনপি মহাসচিব।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন, সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।