ফেসবুকে তাজউদ্দীন আহমেদের পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজের মন্তব্যের পর অবশেষে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় ৪ নেতার অন্যতম বঙ্গতাজ তাজউদ্দীন আহমদ। এদিনে তাকে স্মরণ করে ও শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।
তবে এর আগেই অবশ্য বাবার জন্মদিনে কোনো পোস্ট না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের অন্য একটি পোস্টে হতাশা প্রকাশ করে মন্তব্য করেন তাজউদ্দীন পুত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ। এর কিছুক্ষণ পর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে তাজউদ্দীনকে নিয়ে পোস্টটি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে দেখা যায়, দলের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘রাজনীতির সাতকাহন’ নিয়ে অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। সেখানে মন্তব্যের ঘরে সোহেল তাজ লিখেন, আজ বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং স্বাধীনতাসংগ্রামকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে অন্তত একটা পোস্ট আশা করছিলাম।
সোহেল তাজের মন্তব্যের ঘণ্টাখানেক পর আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে তাজউদ্দীন আহমদকে নিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। ওই পোস্টে বঙ্গবন্ধুর সাথে তাজউদ্দীনের একটি ছবি পোস্ট করে বলা হয়েছে, ২৩ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং মুক্তিযুদ্ধকালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদের ৯৭তম জন্মবার্ষিকী। বঙ্গতাজের জন্মদিনে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা।
এদিকে সোহেল তাজের মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়েছে, তারা সাধারণত যখন ব্যবহারকারী বেশি থাকে তখন মহান নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট দেয়।
তাজউদ্দীন আহমদ ১৯২৫ সালের এই দিনে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার দরদরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। দেশের রাজনীতিতে মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততার অনন্য প্রতীক এই নেতা। ১৯৬৬ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তাজউদ্দীন আহমদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম পরিচালনায় সফল ভূমিকা পালন করেন।