ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে জোর দিচ্ছে বিশ্বনেতারা। সৌদি আরবে মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসবেন। তার আগে সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করার পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন,’সৌদির যুবরাজ প্রকৃত শান্তি আনার চেষ্টা করছেন। সৌদি আরব কূটনৈতিক ক্ষেত্রে খুবই উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। আমরা তার প্রশংসা করছি।’
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, যুবরাজ সালমানের সঙ্গে তার আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল, ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দেয়ার বিষয়টি। তারা প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগ নিয়েও আলোচনা করেছেন।
সৌদি আরবের সংবাদসংস্থা এসপিএ জানিয়েছে, বৈঠকে যুবরাজ সালমান ইউক্রেন সংকট কাটিয়ে শান্তি ফেরানোর জন্য আন্তর্জাতিক প্রয়াসের উপর জোর দিয়েছেন।
সৌদি আরবে মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলের মধ্যে আলোচনা শুরু হচ্ছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি ফেরানোর লক্ষ্যে আলোচনা হবে। মার্কিন প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতিনিধিদলে থাকবেন সেনাপ্রধান, পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেন ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বৈঠকে যাচ্ছে। তার আশা, এই আলোচনার ফলে যুদ্ধ বন্ধের পথ খুলে যাবে।
এক্স-এ পোস্ট করে জেলেনস্কি বলেছেন, ”আমরা আশা করছি, আলোচনা সফল হবে। ইউক্রেন পুরোপুরি গঠনমূলক আলোচনা করবে।”
সম্প্রতি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভান্সের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রকাশ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। সেই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদির বৈঠকটিকে খুবই গুরুত্বের সাথে দেখছেন বিশ্ব রাজনীতির কর্তা ব্যাক্তিরা।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ মস্কো গিয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে বার্তাসংস্থা রয়টার্স ও ব্লুমবার্গ সূত্র উদ্ধৃত করে জানিয়েছে।
উইটকফ হলেন মধ্যপ্রাচ্যের জন্য ট্রাম্পের দূত। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন।
গত জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন।
গতমাসে উইটকফ পুতিনের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং তিনি রাশিয়ায় শাস্তিপ্রাপ্ত এবং জেলে বন্দি মার্কিন শিক্ষক মার্ক ফোজেলকে সঙ্গে করে নিয়ে দেশে ফেরেন। ফোজেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি মারিজুয়ানা নিয়ে ঘুরছিলেন।