আগামী বছরের হজযাত্রীদের জন্য বিমান টিকিটের ওপর আবগারি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে সার্বিকভাবে হজের খরচ কমবে বলে মনে করছে রাজস্ব বিভাগ।
এ ছাড়া যাত্রী নিরাপত্তা ফি, এম্বারকেশন ফি ও এয়ারপোর্ট নিরাপত্তা ফির ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সোমবার (৪ নভেম্বর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে এনবিআর।
প্রসঙ্গত, হজযাত্রীদের বিমান টিকিটের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার এবারই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার এই শুল্ক মওকুফ করেছে এনবিআর।
সাধারণত এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির সময়ই যাত্রীদের ভ্রমণ কর বা আবগারি শুল্ক সংগ্রহ করে তা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে দেওয়া হয়।
বর্তমানে সৌদি আরবগামী বিমান টিকিটের ওপর চার হাজার টাকা আবগারি শুল্ক দিতে হয়।
এ সংক্রান্ত আদেশের মাধ্যমে হজযাত্রীদের জন্য এটি মওকুফ করা হলো।
এছাড়া সার্কভুক্ত দেশের বিমান টিকিটের ওপর দুই হাজার টাকা; সার্কভুক্ত দেশের বাইরে অন্য দেশের টিকিটের ওপর চার হাজার টাকা এবং উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান, হংকং, উত্তর কোরিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস ও তাইওয়ানের বিমান টিকিটে ছয় হাজার টাকা শুল্ক দিতে হয়।
এদিকে, ২০২৫ সালে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যেতে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি প্যাকেজে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজে (মসজিদুল হারামের আশপাশের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন) ৪ লাখ ৭৮,২৪২ টাকা খরচ হবে।
অপর প্যাকেজে (মসজিদুল হারামের আশপাশের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আবাসন) খরচ হবে ৫ লাখ ৭৫,৬৮০ টাকা।
এ ছাড়া বেসরকারিভাবে সাধারণ প্যাকেজের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৮৩,১৫৬ টাকা।