সরকার ঘোষিত বর্তমান হজ প্যাকেজের অতিরিক্ত খরচ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন কেন জনস্বার্থ পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সাথে সব আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাকে হজ যাত্রী পরিবহনে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেয়া হবে না কেন রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (০২ এপ্রিল) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ধর্ম সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক, হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব), সৌদি রাষ্ট্রদূতসহ পাঁচজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট গাজী মো: মহসীন, অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান খান, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট আহসান উল্লাহ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
আদেশের পরে আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান বলেন, হজ নিয়ে আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
আদেশের আগে শুনানিকালে আদালত বলেন, ‘সরকার হাজিদের পক্ষে বিমানের সাথে কেন দর কষাকষি করেনি। তারা দায়িত্বে অবহেলা করেছেন। সৌদি আরব এত ধনী দেশ, সৌদি এয়ারলাইন্সকে অতিরিক্ত ভাড়া কেন দিতে হবে।
আদালত আরো বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় বাংলাদেশীদের জন্য হজের খরচ অনেক বেশি। অথচ এদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এত কম হওয়া সত্ত্বেও অন্য দেশের তুলনায় হজ প্যাকেজ এতো বেশি মেনে নেয়া যায় না। ভারত-পাকিস্তান সরকার যেখানে ১ লাখ টাকা ভর্তুকি দিতে পারে সেখানে বাংলাদেশ কিভাবে হজ প্যাকেজে খরচ বৃদ্ধি করেছে।
৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করে হজের প্যাকেজ ঘোষণা চ্যালেঞ্জ করে গত ১২ মার্চ রিট দায়ের করেন হাইকোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ জামান। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রোববার রুল জারি করেন।
এর আগে গত ৬ মার্চ হজের প্যাকেজ মূল্য সংশোধন করে ৪ লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও আল কোরআন স্টাডি সেন্টারের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ-উজ জামান ধর্ম মন্ত্রণালয়কে এ নোটিশ পাঠিয়েছিলেন।
চলতি মৌসুমে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজের খরচ ৬ লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। পরে এ প্যাকেজ সংশোধন করে ১১ হাজার টাকা কমিয়ে দেয় সরকার।