ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক ওয়াসিম আকরামের (২৮) মরদেহ ৩ মাস পর দেশে ফিরেছে। মরদেহ দেশে ফেরায় সন্তোষ জানিয়েছেন নিহতের স্বজনরা।
নিহত ওয়াসিম মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। মরদেহ নিহতের স্বজন ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (৫ জুলাই) মহেশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটেলিয়নের সহকারী পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাস্টার মুন্সী ইমদাদুর রহমানের পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজিবি জানায়, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে গুলিবিদ্ধ যুবকের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী। পরে বাঘাডাঙ্গা গ্রামের রমজান আলী ঘটনাস্থলে বাংলাদেশ অংশে দাঁড়িয়ে মরদেহটি তার তার ছেলে ওয়াসিম আকরামের বলে দাবি করে।
ওই সময় বিএসএফ মরদেহ উদ্ধার করে ভারতীয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
পরে মরদেহ ফিরে পেতে বিজিবির কাছে লিখিত আবেদন করে ওয়াসিমের বাবা রমজান আলী। আবেদনের প্রেক্ষিতে মহেশপুর ৫৮ বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
ধারাবাহিক যোগাযোগের ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশি ওই যুবকের মরদেহ ফেরত দেয়ার উদ্যোগ নেয়।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে মেইন সীমান্ত পিলার ৬০ এর নিকটে বিজিবি ও বিএসএফ ও দুই দেশের পুলিশ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। ওয়াসিম আকরামের বাবা রমজান আলী এবং তার বড় ভাই মেহেদী হাসান মরদেহ গ্রহণ করে।
পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাঘাডাঙ্গা গ্রামে ওয়াসিম আকরামের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
গত ১১ এপ্রিল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হন ওয়াসিম আকরাম। পরে তার মরদেহ সীমান্তবর্তী ইছামতী নদীর ভারতীয় অংশে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।