১৩ জুন ইরানে ইসরায়েলের হামলার পর তেহরানের প্রতিশোধমূলক হামলার ধারাবাহিকতায় সোমবার (১৪ জুন) ভোরে ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান।
সোমবার ভোরে ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের দফায় দফায় ছোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইরানের প্রতিশোধমূলক হামলার সর্বশেষ দফা শুরু হয়।
এ সময় তেল আবিব, হাইফা এবং অধিকৃত অঞ্চলের মধ্য ও উত্তরাঞ্চলের শহরগুলোতে, যেমন বেনি ব্রাকের লক্ষ্যবস্তুতে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে।
১৩ জুন থেকে ইসরায়েলি সরকারের আগ্রাসনের জবাবে এই হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের ওই হামলায় সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানী এবং সাধারণ মানুষসহ কয়েক ডজন ইরানির জীবন কেড়ে নেয়।
গত চার দিনে ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে এটি ইরানের সবচেয়ে ভারী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা, কারণ ইসরায়েলি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং তেল শোধনাগারগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারী ওয়ারহেডের কারণে ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে আরও ব্যাপক ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। তাছাড়া, আইআরজিসি স্পষ্টতই সর্বশেষ অভিযানে ‘ফাত্তাহ’ হাইপারসনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
উচ্চ গতির এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সহজেই ইসরায়েলের অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাজিত করতে পারে বলেও জানানো হয়। সূত্র: তাসনিম বার্তা সংস্থা